আস্থাভোটে কোন অঙ্কে জয়ী বিজেপি, ২০১৯-এ ‘গোল্লায় যাওয়ার বার্তা’য় ফাঁস মমতার
যতই আস্থা ভোটে জিতুক বিজেপি, ২০১৯-এ পতন নিশ্চিত নরেন্দ্র মোদী সরকারের। শনিবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে চড়া সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিদায়-ঘণ্টা বাজিয়ে দিলেন।
যতই আস্থা ভোটে জিতুক বিজেপি, ২০১৯-এ পতন নিশ্চিত নরেন্দ্র মোদী সরকারের। শনিবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে চড়া সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিদায়-ঘণ্টা বাজিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, শুক্রবার বিজেপি আস্থা ভোট জয়ী হয়েছে ঠিকই, সেটা ২০১৪-র উপর ভিত্তি করে, ওটা ২০১৯-এর ফলাফল নয়। মানুষের সমর্থন নেই মোদী সরকারের সঙ্গে।
মমতার কথায়, বিজেপি আস্থা ভোটে জিতেছে, তার প্রধান কারণ এআইএডিএমকে। এআইএডিএমকে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। জয়ললিতা বেঁচে থাকলে, তিনি কখনই তা করতে না। এবং আস্থা ভোটেও বিজেপি হারত। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ করেন, ২০১৯-এ এআইএডিএমকে একটি আসনেও জিততে পারবে না। ফলে তামিলনাড়ুতে বিজেপির প্রাপ্তি হবে বিগ জিরো।
শুধু তামিলনাড়ুই নয়, ২০১৯-এর আগে শেষ একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই মমতা স্পষ্ট করে দিলেন কেন ২০১৯-এ বিজেপি জিতবে না। একেবারে রাজ্য ধরে ধরে বিজেপির প্রাপ্তির পরিসংখ্যান তুলে মমতা নির্দিষ্ট করে দিলেন বিজেপির পতনের পথ। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, ২০২৪-এও বিজেপি জিতবে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, আগে তো ২০১৯ পার হও বন্ধু, তারপর ২০২৪। ২০১৯-এই বিজেপি ফিনিশ হয়ে যাবে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনাস্থার সবথেকে বড় সাফল্য, এই অনাস্থা বিজেপিরই প্রাক্তন শরিক টিডিপি-র। আর এই অনাস্থা থেকে বিজেপির আর এক জোট সঙ্গী নিজেদের সরিয়ে নিয়ে মোক্ষম বার্তাটা দিয়েছে। এখানেই নৈতিক জয় হয়েছে বিজেপি-বিরোধীদের। যতই আস্থা ভোটে জয়ী হন, তা বিজেপির পক্ষে কোনও ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করে না। বরং ভবিষ্যতের পথ কণ্টকময়, তা দেখিয়ে দিল শুক্রবারের আস্থা ভোট।
এর পাশাপাশিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে ধরেন, ২০১৯-এ বিজেপির পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা কোনও মতেই সম্ভব নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেক দূরে থেমে যাবে বিজেপির বিজয়রথ। সাকুল্যে ১০০ থেকে ১৫০ আসন পেতে পারে বিজেপি। কোনও অঙ্কেই এর থেকে বেশি নয় বলে ব্যাখ্যা মমতার।