সংগ্রামেই জন্ম, সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে যেতে চান মমতা, এগিয়ে প্রতিবাদী সত্ত্বাই
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমার রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল। সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমার জীবন অতিবাহিত হয়েছে, আর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আমি চলে যেতে চাই।
'জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত মানুষ থেকে যেন বিচ্যুত না হই'। ছাত্রছাত্রীদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন সেই কথাই। অকপটেই বললেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমার রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল। সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমার জীবন অতিবাহিত হয়েছে, আর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আমি চলে যেতে চাই।
সংগ্রাম-আন্দোলনের অপর নাম হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, আপনার জীবনের কোন অধ্যায়কে সবথেকে এগিয়ে রাখবেন আপনি। সেই প্রশ্নের উত্তরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, জীবনের শেষ সময়ে এসেই এই ভাবনাগুলি আসে সাধারণত। অমন করে এখনও ভাবিনি।
তবে একান্তই যদি আমাকে বলতে হয়, তবে বলব আমার আন্দোলনের অধ্যায়টাই সবথেকে উল্লেখ্যযোগ্য। তার কারণ ওই অধ্যায় আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমাকে অনেক যোজন এগিয়ে দিয়েছে। আমি রাজনীতিতে এসেছি মানুষের সেবা করতে। জীবনে আমার কিছু চাওয়ারও নেই, কিছু পাওয়ারও নেই।
[আরও পড়ুন: রাজনীতিক না হলে কী হতেন মমতা, অকপট মুখ্যমন্ত্রী নিজের মুখেই জানালেন সে কথা]
আরএ একটা কথা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি পিছনের সারিতে থাকতেই ভালোবাসেন। পিচন থেকে দেশ গড়ার কাজে তিনি একটু অবদান রেখে যেতে চান। চান না, সামনের সারিয়ে আসছে। তিনি সেতুবন্ধনের কাজ করতে চান। সেতুবন্ধনের কাজে তিনি যদি কাঠবেড়ালির মতোর অবদান রাখতে পারেন, ভাববেন অনেক কিছু পেরেছেন। এটাই তাঁর জীবনের লক্ষ্য। এর বাইরে তাঁর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই।
[আরও পড়ুন:ভারত সরকারই মেহুল চোকসিকে 'ক্লিনচিট' দিয়েছে, নাগরিকত্ব ইস্যুতে সাফ জবাব অ্যান্টিগার]