২০১৯ লোকসভার জোট বার্তায় ‘নীরব’ মমতা! কেসিআরের দ্বিতীয় কলকাতা সফরে জল্পনা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ঠারেঠোরে বুঝিয়েছেন তৃতীয় ফ্রন্টের কথা। মুখে বলেছেন, সুখবর রয়েছে, ধৈর্য ধরুন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ঠারেঠোরে বুঝিয়েছেন তৃতীয় ফ্রন্টের কথা। মুখে বলেছেন, সুখবর রয়েছে, ধৈর্য ধরুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে তিনি যখন ২০১৯ লোকসভায় অ-কংগ্রেসি ও অ-বিজেপি জোটের ইঙ্গিত করছেন, তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু নীরব।
কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট, মমতা নীরব
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকে বলে আসছেন একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর কথা। সেইসঙ্গে যুক্ত করেছেন, যেখানে যে দল শক্তিশালী, সেখানে সেই দল লড়াই করুক। এমন বার্তাই তাঁর। তিনি কখনই বলেলনি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট। তবে সম্প্রতি মায়াবতী-অখিলেশের আসন সমাঝোতাকেও তিনি সমর্থন দিয়েছেন, সেখানেও কিন্তু কংগ্রেসের জন্য দুটি আসন ছাড়া ছিল।
মমতার নীরবতায় কীসের ইঙ্গিত
তারপর নবান্নে দ্বিতীয়বার এসে কেসি রাও-মমতার আলোচনার পর তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক চর্চা প্রসঙ্গে উত্থাপন করে ভালো খবরের মোড়কে তৃতীয় ফ্রন্ট বা ফেডেরাল ফ্রন্টের আভাস দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুপ থাকা অন্য ইঙ্গিত দেয় আসন্ন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে।
ভালো খবরের বার্তা সত্ত্বেও মমতা চুপ
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাও ইতিমধ্যেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছেন। তারপর তিনি মমতা-সকাশে বার্তা দিতে এসেছেন ফেডেরাল ফ্রন্টের। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ধৈর্য্য ধরুন, ভালো খবর অপেক্ষা করছে। যা আলোচনা হয়েছে, তা ভালোর জন্যই হবে।
মমতার পিছু হটার নেপথ্যে
কেসিআরের এই মন্তব্যই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি চর্চা চলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীরবতা নিয়ে। কেসি রাও অ-কংগ্রেসি অ-বিজেপি জোট চিত্র স্পষ্ট করতে চাইলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাতে আমল দিচ্ছেন না, তা-ই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে বিজেপি বিরোধী জোটের কথা বললেও, পরবর্তী সময়ে তাঁদের বিজেপিকে সমর্থন, মমতাকে পিছু হটতে বাধ্য করে।