মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যপাল, বিজেপি-র লড়াই ক্রমশ ক্ষীণ রাজ্যের সাফল্য প্রচারে
রাজ্যের বাজেট অধিবেশনের ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রকল্পের প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
কেন্দ্রের বাজেট অধিবেশনে পেশ করা অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এবার রাজ্যের বাজেট অধিবেশনের ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রকল্পের প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
এদিন রাজ্যপাল ভাষণের শুরুতেই মুর্শিদাবাদের বাস দুর্ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করেন। পরে তৃণমূল সরকারের আনা বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশংসাও করেন তিনি। এই সময়ই আবার বিরোধীরা হট্টগোল শুরু করে দেন। মুর্শিদাবাদের বাস দুর্ঘটনার রাজ্য সরকার ব্যর্থ বলে অভিযোগ তুলে বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা প্লাক্যার্ড-ব্যানার, পোস্টার নিয়ে বিধানসভা কক্ষে বিক্ষোভ দেখান।
এদিন রাজ্যপালের প্রশংসায় উঠে আসে কন্যাশ্রীর বিশ্বজয়ের কথা। কন্যাশ্রী প্রকল্পে রাজ্য সরকার যে সাফল্য পেয়েছে, তা বিশ্বেও সমাদৃত হয়েছে। সেইসঙ্গে এদিন রাজ্যপাল প্রশংসা করেন রাজ্যের খাদ্যসাথী প্রকল্প, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, ইকো পার্ক নিয়েও রাজ্য সরকারের।
রাজ্যপালের কথায়, কলকাতায় এখন বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রদর্শনী মঞ্চ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও রাজ্য সরকারের প্রশংসা করেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায় উঠে আসে একাধিক পুলিশ কমিশনারেট গঠনের কথা। এমনকী বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন নিয়েও তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি রাজ্য সরকারের নিজস্ব প্রতীক প্রাপ্তির পাশাপাশি ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের সাফল্যও তুলে ধরেন তাঁর ভাষণে।
দার্জিলিংয়ে শান্তি ফিরে আসা প্রসঙ্গেও তিনি রাজ্যের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাজ্যের সরকার পাহাড়ে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। এক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার সাফল্য দেখিয়েছে। সেইসঙ্গে রাজ্যের অর্থনৈতিক সাফল্যের কথাও উঠে আসে রাজ্যপালের কথায়।