মমতা বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, তবে কি পঞ্চায়েত নির্বাচন পিছিয়েই যাচ্ছে
ভোট বিলম্ব করার যে প্রয়াস চালাচ্ছেন বিরোধীরা, তার কঠোর সমালোচনা করে রাজ্যের মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোট বিলম্ব করার যে প্রয়াস চালাচ্ছেন বিরোধীরা, তার কঠোর সমালোচনা করে রাজ্যের মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অযথা ভোট প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তিনি বুঝিয়ে দেন। তাঁর কথায় একপ্রকার স্পষ্ট পঞ্চায়েত নির্বাচন পিছিয়ে যেতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: মামলাটি কি আদৌ মেন্টেনেবল! সিঙ্গল বেঞ্চেই আবেদন করে প্রশ্ন তুলবেন কল্যাণ]
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে এখন নির্বাচনী বিধি জারি রয়েছে। এই অবস্থায় উন্নয়নমূলক কোনও কাজই করা যাচ্ছে না। আর নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েই চলেছে। এতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, কাল থেকে নবান্নে দেরি করে আসব। বাইরের কাজ সেরে নবান্নে আসব।
তাঁর এই কথায় বিরক্তই প্রকাশ পায় এদিন। নির্বাচন বিলম্বে হওয়ার বিষয়টি তিনি মানতে পারছেন না। হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি কিছু মন্তব্য করতে না চাইলেও তিনি ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্টের এই রায়ে তিনি খুশি নন। তাঁর কথায়, নির্বাচন বিধি বর্ধিত হওয়ায় উন্নয়নমূলক কাজকর্ম বন্ধ থাকবে আরও বেশিদিন।
রাজ্যে যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আচরণ বিধি জারি রয়েছে, সেহেতু জেলা সফর বন্ধ। কোনও উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা, নয়া কোনও প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। সেই কারণে অবিলম্বে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, বিরোধী রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে পারছে না বলেই এখন নির্বাচন বিলম্ব করতে চাইছে।
এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব এই আইনি দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। তিনি মনে করেন, মানুষের রায় নিতে ভয় পাচ্ছেন বলেই বিরোধীরা উল্টোপথ অনুসরণ করছে। তাঁর বিশ্বাস বিরোধীদের এই নির্বাচনী বিলম্বের যোগ্য জবাব দেবেন মানুষ।
তবে নির্বাচন যে নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। কেননা স্ক্রুটনি থেকে শুরু করে মনোনয়ন প্রত্যাহার, প্রতীক বিলি সমস্তই বাকি। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে তা করা দুঃসাধ্য হবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সেই কারণে অন্তত ১ মে-র নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে।
[আরও পড়ুন: পলিটব্যুরোয় বিমান কি এবার অস্তাচলে! লাল-পার্টির অন্দরে ফের বৃদ্ধতন্ত্রের হানা]