কে হবেন মোদীর চ্যালেঞ্জার? কাঠবেড়ালির সেতুবন্ধনের গল্পে স্পষ্ট আভাস দিলেন মমতা
দেশের বর্তমান রাজনীতিতে অগ্রগণ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অচিরেই হয়ে উঠেছেন মোদী-বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নটা তাই উঠে পড়ে, তিনি কি অদূর ভবিষ্যতে দেশের কাণ্ডারি হতে চলেছেন।
দেশের বর্তমান রাজনীতিতে অগ্রগণ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অচিরেই হয়ে উঠেছেন মোদী-বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নটা তাই উঠে পড়ে, তিনি কি অদূর ভবিষ্যতে দেশের কাণ্ডারি হতে চলেছেন। দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের লড়াইয়ে কি তাঁকেই দেখা যাবে সমানের সারিতে? কান পাতলেই এখন একটাই প্রশ্ন, কে হবেন মোদীর চ্যালেঞ্জার?
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এই প্রশ্নের উত্তরে সাফ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব বড় কথা নয়, অধিক গুরুত্বপূর্ণ নরেন্দ্র মোদীকে হারানো তথা দেশকে বিজেপি-আরএসএস মুক্ত করা। আর তা করতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মায়াবতীর মতো কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মেনে নিতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জোট গড়ে লড়াই করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক করা হবে নির্বাচনের পর। যৌথ নেতৃত্বেই তাঁরা চলবেন। সম্প্রতি রাহুল গান্ধীকেও সেই বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন একক নেতৃত্ব নয়, যৌথ নেতৃত্বই তাঁদের জোটকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আর এই অবস্থা বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে এসেও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল। প্রশ্ন শোনাও যা, সঙ্গে সঙ্গে উত্তর, আমি ভালোবাসি পেছনের সারিতে থাকতে। সামনের সারিতে থাকতে চাই না। পিছন থেকে দেশ গড়ার কাজে নিজের অবদান রাখতে চাই। পিছন থেকে দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার কাজ, সেতুবন্ধনের কাজ করতেই তিনি বেশি আগ্রহী। কাঠবেড়ালির মতো তিনি সেতু বন্ধনের কাজ করে করে দেশের ঐক্য বজায় রাখার কাজ করবেন বলে অকপটে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সঙ্গী-সাথীরা কিংবা সদস্য সমর্থকরা যতই তাঁকে দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী ভেবে প্রচার চালাক, তিনি নিজেকে পিছনের সারিতে রাখতে চাইছেন। রাখতে চাইছেন সেতুবন্ধনের কাজে লাগাতে। অর্থাৎ প্রয়োজনে অন্য কাউকে এগিয়ে দিয়ে তিনি যে কিং-মেকারের ভূমিকা নিতে পারেন, সেই আভাসও রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়।
[আরও পড়ুন:লোকসভা ভোটে সোনিয়ার জায়গা নিতে চলেছেন মেয়ে প্রিয়াঙ্কা! কী বলছে কংগ্রেস শিবির]
এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোনওদিনও জাতীয় রাজনীতিতে সামনের সারিতে থাকতে চাইনি। এমনকী যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, তখনও আমি বসতাম পিছনের সারিতে। আমার লক্ষ্য কাজে এগিয়ে থাকা, মানুষের পাশে থাকা, পদের পিছনে কোনওদিন ছুটিনি, আজও ছুটব না। কারণ আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। মানুষের জন্য কিছু করতে পারাই আমার তৃপ্তি।
[আরও পড়ুন:সংগ্রামেই জন্ম, সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে যেতে চান মমতা, এগিয়ে প্রতিবাদী সত্ত্বাই]