বিজেপি নকল গেরুয়া! দক্ষিণেশ্বরে গর্বের স্কাইওয়াক উন্মোচনে ‘বিবেক-বাণী’ মমতার
শুধু গেরুয়া পরলেই সাধু হয় না। মন্ত্রী হবে, এনজয় করবে, আবার গেরুয়াও হবে। তা কি হয়! দক্ষিণশ্বরে কলকাতার প্রথম স্কাইওয়াক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করলেন বিজেপিকেই।
শুধু গেরুয়া পরলেই সাধু হয় না। মন্ত্রী হবে, এনজয় করবে, আবার গেরুয়াও হবে। তা কি হয়! দক্ষিণশ্বরে কলকাতার প্রথম স্কাইওয়াক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করলেন বিজেপিকেই। বিজেপিকে গেরুয়া ভেকধারী বলেও তোপ দাগলেন তিনি। মমতা বললেন, বিজেপি নকল গেরুয়া। ওরা শুধু ধর্ম-ধর্ম করে, ধর্মের জন্য কিছু করে না।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনায় দক্ষিণেশ্বরে নবদিগন্তের সূচনা হল। এদিন স্কাইওয়াকের প্রধান ফটক উন্মোচন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কাই ওয়াক দিয়ে হেঁটে পৌঁছন মা ভবতারিণী মন্দিরে। সেখানে গর্ভগৃহে উপস্থিত হয়ে তিনি পুজো দেন। তারপর হেঁটেই তিনি ফেলেন মূলমঞ্চে। এরপর তাঁর বক্তব্যে তিনি তুলে ধরেন, কোন প্রেক্ষাপটে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে স্কাইওয়াক নির্মাণ হল। কোথায় কী বাধা এসেছিল, সেসব বাধা তিনি কীভাবে পেরিয়ে গিয়ে এই অসাধ্য সাধন করেছেন।
মমতা বলেন, শুধু সদিচ্ছা থাকলেও অনেক কঠিন কাজ করা যায়। আমরা বহু বাধা-বিপত্তি ঠেলে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের প্রবেশপথে এই স্কাইওয়াক নির্মাণ করতে পেরেছি। এজন্য মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও দক্ষিণেশ্বর অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরীকে বিশেষ অভিনন্দন জানান তিনি। শ্রদ্ধা জানান হাইকোর্টের বিচারপতিদের। কারণ এই স্কাইওয়াক নিয়ে বিতর্ক আদালত পর্যন্তও পৌঁছেছিল। বিচারপতিরা স্কাইওয়াক নির্মাণে সবুজসংকেত প্রদান করেছিল।
এই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিরোধী তিনটি দলকে নিশানা করেন। বলেন, স্কাইওয়াকের কাজ ভেস্তে দিতে কনভেনশন করেছিল জগাই-মাধাই আর গদাই-রা। হকারদের মস্তিষ্ক ধোলাই করেছিল। হকারদের ভুল বুঝিয়েছিল। তবে হকার ভাইদের ধন্যবাদ তাঁরা ভুল পথে পা দেয়নি। তাই সবার ঐকান্তিক ইচ্ছায় স্কাইওয়াক নির্মাণ হয়েছে। এবারই দেখুন, এই স্কাইওয়াক করে কতটা সুবিধা হয়েছে। কারা এর সুবিধা পাবে।
তিনি বলেন, আসলে আগে কেউ ভাবার ছিল না, কেউ ভাবেওনি। সেই কারণে এতদিন হয়নি উন্নয়ন। সাজিয়ে তোলা যায়নি গঙ্গাসাগর থেকে শুরু করে তারাপীঠ, বেলুড় থেকে দক্ষিণেশ্বর, ফুরফুরা শরিফ থেকে আজমেঢ় শরিফকে। আজ আমরা ভাবছি দর্শনার্থীদের কথা, ভাবছি পর্যটকদের কথা, তাই উন্নয়ন হচ্ছে, পাল্টে যাচ্ছে সব দর্শনক্ষেত্রের চেহারা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শীঘ্রই লাইট ও সাউন্ড সিস্টেম হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, গর্বের স্কাইওয়াক হল। সেখানে আমার হকারভাইদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। সাতদিনের মধ্যেই তাঁরা যাতে দোকান পায়, সেই ব্যবস্থাও করা হবে। হকার ভাইদের কাছে আমার আর্জি এই স্কাইওয়াককে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এরপরই তিনি স্কাইওয়াক পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কামারহাটি পুরসভার একশো দিনের কাজের ৫০ জন শ্রমিককে মোতায়েন করার নির্দেশ দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে।
[আরও পড়ুন:দক্ষিণেশ্বরে স্কাই ওয়াকের উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
সেইসঙ্গে
বলেন
স্কাইওয়াক
রক্ষণাবেক্ষণ
করতে
হবে।
এবং
এদিন
দক্ষিণেশ্বরে
পূর্ণাঙ্গ
থানা
করার
পরিকল্পনার
কথাও
জানান
এদিন
দক্ষিণেশ্বরের
স্কাইওয়াকের
নামকরণও
করে
দেন
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই
স্কাইওয়াকের
নামকরণ
হয়
দক্ষিণেশ্বর
রানি
রাসমণি
স্কাইওয়াক।
রানি
রাসমণির
নামে
আরও
কিছু
পরিকল্পনা
তাঁর
রয়েছে
বলে
জানান
মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: আকাশপথে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ঝঞ্ঝাটমুক্ত মায়ের দর্শনলাভ! জুড়ে যাচ্ছে ট্রেন-মেট্রো-ফেরি ]
বলেন, দক্ষিণশ্বর-বেলুড়মঠ আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র। ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র। রামকৃষ্ণদেব, বিবেকানন্দের প্রতিষ্ঠা ক্ষেত্র। তাই তাঁদের হিন্দু ধর্ম মেনেই সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেন মমতা। বলেন, দুদিনের পার্টির হিন্দুধর্ম কেউ মানবে না, বাংলার মানুষ মানে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের হিন্দু ধর্ম।