গুরুংয়ে নমনীয় নন মমতা, তবে মোর্চাকে চাইছেন পাহাড়-আলোচনায়
প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আলোচনা-বার্তা, তারপর জিএনএলএফের শান্তি-প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় নিয়ে সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। পাশাপাশি পাহাড়ে গুরুংয়ের বিরুদ্ধ অভিযান
অবশেষে পাহাড় ইস্যুতে নমনীয় হয়েছেন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং। নতি স্বীকার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন তিনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন বিমল গুরুংকে রেয়াত করতে রাজি নয়। রাজ্য প্রশাসন তাঁর খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে। গা ঢাকা দিতে জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়তে বাধ্য হয়েছেন মোর্চা প্রধান।
প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আলোচনা-বার্তা, তারপর জিএনএলএফের শান্তি-প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় নিয়ে সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। ২৯ আগস্টের বৈঠকে অন্য দলগুলির সঙ্গে মোর্চাও যাতে উপস্থিত থাকে, সেই বার্তা দিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই বৈঠকে মোর্চা উপস্থিত হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
যদিও মোর্চার তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, তারা রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তারপরই পাহাড়ে হিংসায় কোণঠাসা মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন। এরপরও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসন নমনীয় হচ্ছে না। তাই সর্বদল বৈঠকে বিমল গুরুংয়ের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা খুব কম।
শুধু বিমল গুরুংই নন, এই বৈঠকে মোর্চা উপস্থিত হলে রোশন গিরি, প্রকাশ গুরুং কারও উপস্থিত থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই। থাকতে পারেন বিনয় তামাং বা দ্বিতীয় সারির কোনও নেতা। মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার উপস্থিতি স্বাগত বলে জানিয়ে রাখলেও পাহাড়ে হিংসায় যারা অভিযুক্ত তাদের কিছুতেই রেয়াত করবে না রাজ্য প্রশাসন।
মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে এউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই তাঁর পিছনে পড়ে গিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। ধারাবাহিক অভিযান চালানো হচ্ছে বিমল গুরুংকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে। বিমল গুরুং ছাড়াও আরও যে চারজনের নামে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, তাঁদেরও খোঁজ চলছে।
পুলিশ ওঁত পেতে বসে আছে বিমল গুরুংদের পাকড়াও করতে। মোর্চা নেতাদের ট্র্যাক করে তাঁদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গ্রেফতারি এড়াতে জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছেন বিমল গুরুং ও তাঁর সঙ্গীরা। সিঙ্গালিলার ঘন জঙ্গল দিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমেও অবাধ যাতায়াত করছেন বিমল গুরুং। এমনকী তিনি ঘন ঘন ডেরা বদল করছেন বলেও জানা গিয়েছে।
রাজ্য প্রশাসন সাফ জানিয়েছে, যাঁরা পাহাড়ে অশান্তির বাতাবরণ জারি রেখেছে, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, অহেতুক প্রাণহানির ঘটনা ঘটিয়েছে, তাঁদের কোনওমতেই রেয়াত করা হবে না। প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাদের জানিয়েই এই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।