আলোচনায় আগ্রহী রাজ্য, কিন্তু গোর্খাল্যান্ড না-পসন্দ, সর্বদলে বোঝালেন মমতা
একদিন আগে পাটনা থেকে বিজেপি বিরোধী জোটের ডাক দিয়েছিলেন। এবার বাংলা থেকে কেন্দ্রে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অচলাবস্থা কাটাতে পাহাড় আলোচনায় উঠে এল ইতিবাচক দিক। শান্তি ফেরাতে সব দলই একমত হয়েছে সর্বদল বৈঠকে। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, 'এবার থেকে নিয়মিত আলোচনা চলবে। মোর্চা-সহ পাহাড়ের দলগুলির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই পাহাড় সমস্যার সমাধান হবে। কথা যখন শুরু হয়েছে, তা চলবে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর উত্তরকন্যায় ফের বসা হবে সর্বদল বৈঠকে।'
[আরও পড়ুন:সৌজন্য-অভিমান শেষ, ফের আক্রমণ মমতাকে, কী বললেন অধীর]
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-সহ পাহাড়ের দলগুলি এদিন গোর্খাল্যান্ড ইস্যু তোলে বৈঠকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই ইস্যুকে গুরুত্ব দেননি। তিনি বুঝিয়ে দেন সর্বাগ্রে পাহাড়ে শান্তি স্থাপন, তারপর অন্য ইস্যুতে আলোচনা। পাহাড় থেকে বনধ তুলতে হবে। সমস্ত বিষয় নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। আলোচনা যখন শুরু হয়েছে, তখন পাহাড় সমস্যা মেটাতে সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এতদিন আলোচনা বন্ধ ছিল। সবাই পাহাড় ইস্যুতে এক টেবিলে এসেছে, এতে আমি খুশি। মোর্চা-সহ সমস্ত পাহাড়ের দলের কাছে বনধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছি। মোর্চা-সহ পাহাড়ের দলগুলি সময় নিয়েছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।' পাহাড়ের সমস্ত দল যেহেতু পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সহমত হয়েছে, সেইহেতু শীঘ্রই পাহাড়ে বনধও তুলে নেওয়া হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
বিনয় তামাং বলেন, সমস্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনাও ফলপ্রসূ হয়েছে। পাহাড়ে বিস্ফোরণের নিন্দা করেন তিনি। তাঁর দাবি, প্রশাসন অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক। তিনি সিবিআই তদন্ত দাবি করেন মোর্চা সমর্থকদের মৃত্যুর ঘটনায়। বিচারবিভাগীয় তদন্তও দাবি করেন তিনি।
এদিন প্রথমে মোর্চা, জিএনএলএফ ও জন আন্দোলন পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয় পর্যায়ে বৈঠক হয় পাহাড়ের উন্নয়ন পর্ষদগুলির সঙ্গে। সর্বদল বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেস-বিজেপি-সিপিএমসহ সমস্ত বড় দলের নেতারাই।
এদিন বিনয় তামাংয়ের নেতৃত্বে মোর্চার পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতা বৈঠকে অংশ নেন। ছিলেন জিএনএলএফ নেতা নীরজ জিম্বা, নিমা লামা, জন আন্দোলন পার্টির নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রী প্রমুখ। হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, পাহাড় হিংসা সমর্থনযোগ্য নন। তিনি পাহাড়ে শান্তির পক্ষে। হিংসার তদন্ত করুক যোগ্য সংস্থা।