জয়ার ‘এন্ট্রি’ মিলল না তৃণমূলে, রাজ্যসভায় ‘আনকোরা’দের প্রার্থী করে নয়া চমক মমতার
কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন থেকে রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় চমক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধারে প্রদেশ কংগ্রেসকে যেমন বুঝি্য়ে দিলেন, তাঁদের থেকেও হাইকম্যান্ডের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অনেক বেশি।
চমকের পর চমক। কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন থেকে রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় চমক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধারে প্রদেশ কংগ্রেসকে যেমন বুঝি্য়ে দিলেন, তাঁদের থেকেও হাইকম্যান্ডের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অনেক বেশি, অন্যদিকে নিজের দলকেও বুঝতে দিলেন এবার রাজ্যসভায় তাঁর দলের মুখ হতে চলেছেন কারা।
[আরও পড়ুন:অধীর-গড়ে বড় ভাঙন, শুভেন্দুর 'হানা'য় কংগ্রেস বিধায়কের যোগদান তৃণমূলে ]
একেবারে আনকোরা তিন মুখকে তিনি এবার রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলে এতদিন জোর জল্পনা ছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রার্থী হতে পারেন 'ঘরের মেয়ে' অমিতাভ-জায়া জয়া বচ্চন। কিন্তু সেই চিরাচরিত পথে না হেঁটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিলেন তাঁর দলের প্রার্থী তালিকা।
মোট পাঁচটি রাজ্যসভার সাংসদ পদ খালি হয়েছিল রাজ্যের। সেই শূন্যপদ পূরণে চার জন তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন মমতা। পুরনোদের মধ্যে কেবল একজনের স্থান হল সেই তালিকায়। তিনি হলেন নাদিমুল হক। আর বাকি তিনজনের মধ্যে মুকুল রায়, কুণাল ঘোষের স্থান হওয়ার কথা ছিল না। অর্থায সে অর্থে শুধু বাদ পড়লেন বিবেক গুপ্তা।
[আরও পড়ুন:জোটের পথে মমতা! কংগ্রেসের হাত ধরে রাজ্যের পাঁচ আসনই 'দখল' তৃণমূলের]
তাঁদের জায়গায় এলেন শুভাশিস চক্রবর্তী, শান্তনু সেন, আবির বিশ্বাস। মমতা বলেন নাদিমুল ভালো পারফর্ম করেছে, তার পুরস্কার স্বরূপ দ্বিতীয়বার মনোনীত হলেন। নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবির বিশ্বাস এই প্রথম সংসদীয় রাজনীতিতে পা রাখছেন। তাঁর বাবা আনন্দমোহন বিশ্বাস ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। আর শান্তনু সেন কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর। আর শুভাশিস চক্রবর্তী বিশিষ্ট আইনজীবী, তিনি দক্ষিণ কলকাতার আইএনটিটিইউসি-র সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন।
মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় চার আসনের মধ্যে একটি জয়া বচ্চনের জন্য বরাদ্দ করবেন, স্বাভাবিক ভাবেই একথা বাংলার রাজনৈতিক মহল ভেবেছিল। তার কারণ বচ্চন পরিবারের প্রতি তাঁর সখ্যতা। আর তারপর জয়া বচ্চন নিজে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মমতা বুঝি্য়ে দিলেন তাঁর কাছে দলের চাহিদাই আগে। তিনি দলকে বেশি গুরুত্ব দেন, বাংলাকে বেশি গুরুত্ব দেন। উল্লেখ্য, জয়া বচ্চন এদিন উত্তর প্রদেশ থেকে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেন।
[আরও পড়ুন: 'পঞ্চায়েতের দায়িত্ব আপনাদের, দিল্লিরটা আমার', ২০১৯-এ বিজেপি 'ফিনিশে'র বার্তা মমতার]
আর অভিষেক মনু সিংভিকে সমর্থনের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, 'কংগ্রেস প্রার্থী হলেও অভিষেক মনু সিংভি একজন যোগ্য ব্যক্তি রাজ্যসভায় যাওয়ার মতো। তার উপর তিনি তৃণমূলের কংগ্রেসের হয়ে অনেক মামলা লড়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁকে সমর্থন দেওয়ার পিছনে তাই একটা দায়বদ্ধতা রয়েই যায়। তাঁর মতো মানুষ সংসদে গেলে লাভবানই হবে সংসদীয় রাজনীতি।' এই পঞ্চম আসনে সিপিএমও পাল্টা পার্থী দিয়েছে। তা্ঁদের প্রার্থী রবীন দেব। যদিও তৃণমূল সমর্থন করায় কংগ্রেস প্রার্থী মনু সিংভির জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।