জোটের পথে মমতা! কংগ্রেসের হাত ধরে রাজ্যের পাঁচ আসনই ‘দখল’ তৃণমূলের
পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে তৃণমূল সমর্থন করবে। ফলস্বরূপ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি কংগ্রেসের সাংসদ হচ্ছেন রাজ্যসভায়।
২০১৯-এর আগেই কংগ্রেসের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিল তৃণমূল। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের প্রার্থীকেই সমর্থন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নজরুল মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠকে তিনি ঘোষণা করেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে তৃণমূল সমর্থন করবে। ফলস্বরূপ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি কংগ্রেসের সাংসদ হচ্ছেন রাজ্যসভায়।
[আরও পড়ুন: অধীর-গড়ে বড় ভাঙন, শুভেন্দুর 'হানা'য় কংগ্রেস বিধায়কের যোগদান তৃণমূলে ]
একইসঙ্গে তৃণমূলের চার প্রার্থীর নামও এদিন ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরনোদের মধ্যে ফের রাজ্যসভায় যাচ্ছেন শুধুমাত্র নাদিমুল হক। বাকি তিনজনই নতুন প্রার্থী। নাদিমুল ছাড়াও তৃণমূল প্রার্থী করছে শান্তনু সেন, শুভাশিস চক্রবর্তী ও আবির বিশ্বাসকে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিদেরই রাজ্যসভায় আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কংগ্রেস যে তাঁদের দলীয় টিকিটেই প্রার্থী দাঁড়া করাতে চাইছিল, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল একদিন আগেই। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের বৈঠকেই স্থির হয়ে যায় বিষয়টি। সেইমতো অভিষেক মনু সিংভিকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেসকে বার্তা দেয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্যতা না থাকলেও কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের এই বার্তা পেয়ে অভিষেক মনু সিংভিকে সমর্থনের কথা জানালেন মমতা। দিল্লির রাজনীতিতে ফের কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেসের এক সঙ্গে পথ চলার আবহ তৈরি হল। অভিষেক মনু সিংভির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন সোনিয়া গান্ধী স্বয়ং। তারপরই প্রদেশ নেতৃত্ব বুঝে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
অধীর চৌধুরী বলেন, 'আমি নিজে সীতারাম ইয়েচুরির কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর অসুবিধার কথা জানিয়ে দেন। তারপরই কংগ্রেসের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় হয় যাঁকেই প্রার্থী করা হোক না কেন, তাঁকে দলের টিকিটেই প্রার্থী করা হবে। আমরা বিষয়টি রাহুল গান্ধীর উপরই নির্ভর করেছিলাম। সেইমতো হাইকম্যান্ড অভিষেক মনু সিংভিকে প্রার্থী করে। তিনি যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হবেন, এ ব্যাপারেও আমি নিশ্চিত।'
উল্লেখ্য, বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৪২ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫-এ। এই অবস্থায় কংগ্রেসের একার পক্ষে কোনও প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার ক্ষমতা ছিল না। তাঁদের হয় তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা সিপিএমের সাহায্য নিতে হত। এই অবস্থায় অভিষেক মনু সিংভিকে প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন আদায় করে নিল কংগ্রেস। প্রকারান্তরে ২০১৯-এর চ্যালেঞ্জও বিজেপিকে ছুড়ে দিল তৃণমূল।