তৃণমূল নেতাদের সঙ্গতিহীন সম্পত্তি-সামাজিক প্রকল্পে চাপ! পঞ্চায়েতে নিয়ে পূর্বতন বামসরকারের সিদ্ধান্ত বদল মমতার
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে জোর দিয়েছিল পূর্বতন বাম সরকার (Left Govt)। সেই কারণে তৃণমূলস্তরে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত যাবতীয় ক্ষমতা জেলা পরিষদের হাতেই তুলে দিয়েছিল তারা। বামেরা বিদায় নিয়েছে ১১ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যে
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে জোর দিয়েছিল পূর্বতন বাম সরকার (Left Govt)। সেই কারণে তৃণমূলস্তরে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত যাবতীয় ক্ষমতা জেলা পরিষদের হাতেই তুলে দিয়েছিল তারা। বামেরা বিদায় নিয়েছে ১১ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বাম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে জায়গায় জায়গায় তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের প্রাসাদোপম বাড়ি। বড় চারচাকার গাড়ি ছাড়া তাদের চলে না। ছবি-সহ অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। পঞ্চায়েতের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার সিদ্ধান্ত।
বারবার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা
প্রতিবছরে জেলা পরিষদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার কাজ হয়। যা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারে বারে। এখানেই শেষ নয় বিরোধী শূন্য হওয়ার পরে সেই টাকার ভাগ নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে। খবর কম রাখেন না মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জেলা সফরে গিয়ে বারে বারে বার্তা দিয়েছেন। ভুল হলে শোধরানোর সময় দিতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে মানছে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। উপরন্তু বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে তৃণমূলের ছোট-মাঝারি থেকে বড় নেতাদের প্রাসাদোপম বাড়ি ও গাড়ির কথা। জায়গায় জায়গায় গজিয়ে উঠেছে বীরভূমের বগটুই গ্রামের ভাদু শেখের মতো নেতারা।
ক্ষমতা কমল জেলা পরিষদের
পঞ্চায়েত ভোটে সব দখলের জন্য কোমড় বাঁধছে তৃণমূল। তবে মানুষের সামনে স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি তুলে ধরার দায়ও রয়ে যাচ্ছে। যার জেরে গ্রামীণ পরিকাঠামো খাতে খরচের যে ক্ষমতা জেলা পরিষদগুলির হাতে ছিল, তা পঞ্চায়েত দফতরের হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। বলা যেতে পারে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নয়, ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত করার সিদ্ধান্তই নেওয়া হল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পঞ্চায়েত দফতর
আগে কোনও প্রকল্পের টেন্ডার ডাকা থেকে শুরু করে ওয়ার্ক অর্ডারের দায়িত্ব ছিল জেলা পরিষদের হাতে। কোন প্রকল্পের রিপোর্ট তৈরি করে জেলা পরিষদগুলি পাঠাত পঞ্চায়েত দফতরের কাছে। রাজ্য সরকারের মাধ্যমে তা যেত নাবার্ডের কাছে। প্রকল্পের অনুমোদন হলেই, সরকার জেলা পরিষদকে তা নিয়ে নির্দেশ দিত। এবার মধ্যে থাকবেন জেলার সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার। পঞ্চায়েত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত দফতর থেকে ২৩ টি জেলার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে সাতজন সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারকে। তাঁরাই গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের তহবিলে হওয়া কাজের দেখভাল করবেন।
আছে অন্য কারণও
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে সামাজিক ক্ষেত্রে সরকারের খরচ বিপুল পরিমাণ বেড়েছে। অন্যদিকে নেতাদের অর্থ উপার্জনের তারণায় অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা যাচ্ছে না। লেই পরিস্থিতিতে বাড়তি খরচ কমিয়ে, সেই টাকা সামাজিক প্রকল্পেই দিতে চায় তৃণমূল সরকার। কেননা ভোটে ডিভিডেন্ট দিচ্ছে সামাজিক প্রকল্পই।
উপকূলের কাছে ভয়াল রূপে ঘূর্ণিঝড় অশনি! বাঁকেই কমবে গতি, পর্যবেক্ষণ আবহাওয়া দফতরের