খিলজি মডেলে মন্ত্রীদের উপর গোপন নজরদারি চালাতে ‘গুপ্তচর’ নিয়োগ মুখ্যমন্ত্রীর!
রাজ্যের মন্ত্রীদের উপর গোপন নজরদারি শুরু করেছে নবান্ন! সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজির মডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যে ফিরে আসছে গুপ্তচর ব্যবস্থা।
কলকাতা, ২ নভেম্বর : রাজ্যের মন্ত্রীদের উপর গোপন নজরদারি শুরু করেছে নবান্ন! একেবারে সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজির মডেলে। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যে ফিরে এল গুপ্তচর ব্যবস্থা। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় বিদেশে গুপ্তচর নিয়োগের চল ছিলই। কিন্তু একেবারে নিজের প্রশাসনের অন্দরে এই ব্যবস্থা রাখার প্রয়োজন অনুভব করেননি হালের কোনও প্রশাসনিক অধিকর্তাই।
সাতশো বছর আগে ভেবেছিলেন এক রাষ্ট্রপ্রধান। এবার তাঁকে আদর্শ করেই গুপ্তচর নিয়োগ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে রাজনৈতিক মহলে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে, তাঁর ডান হাত বিশ্বাস করে না বাম হাতকে। তাই সব কিছুর রাশ নিজের হাতে রাখতেই তিনি পছন্দ করেন। এই ধারণা যে অমূলক নয়, প্রমাণ করল মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ।
তিনি
নিজের
মন্ত্রিসভার
সদস্যদের
পিছনেই
চর
নিয়োগ
করলেন।
বিশ্বস্ত
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
তাঁর
মন্ত্রীদের
উপর
গোপনে
নজরদারি
চালাতে
শুরু
করেছে
নবান্ন।
খোদ
কলকাতার
পুলিশ
কমিশনার
রাজীব
কুমারকে
নজরদারি
চালানোর
নির্দেশ
দিয়েছেন
মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি
সন্ধ্যার
পর
থেকে
গভীর
রাত
পর্যন্ত
লালবাতির
গাড়ি
ছুটিয়ে
রাজ্যের
মন্ত্রীরা
বিভিন্ন
জায়গায়
যাচ্ছেন।
তাঁরা
কোথায়
যাচ্ছেন,
কাদের
সঙ্গে
দেখা
করছেন,
কেন
যাচ্ছেন?
সব কিছুই জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সব রিপোর্ট পেশ করতে হবে নবান্নে। মন্ত্রীদের সঙ্গে নিযুক্ত পুলিশ কর্মীদেরই নতুন কাজ হবে এই গুপ্তচর বৃত্তি। এই মর্মে পুলিশকর্মীদের গাড়ির লগবুকে চালকদের সবিস্তার লিপিবদ্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তার নাম, এলাকার নাম, কোথায় কোথায় মন্ত্রীরা যাচ্ছেন, তার বিস্তারিত বিবরণ থাকা চাই। রাজ্যের মন্ত্রীদের সম্পর্কে সন্দেহজনক গতিবিধি মুখ্যমন্ত্রীর কানে আসাতেই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত।
সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে মন্ত্রীদের যোগদান একেবারেই নিষেধ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদ-কাণ্ডের পর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল অচেনা ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাতেও। সে সব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফের পুরনো রাস্তায় হাঁটছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। তাই চর নিয়োগের সিদ্ধান্ত। আর এই সিদ্ধান্ত নিজের মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রতি অনাস্থারই নামান্তর।