কোমর কষছে তৃণমূল, বিধানসভায় কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশের প্রস্তুতি মমতা সরকারের
কোমর কষছে তৃণমূল, বিধানসভায় কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশের প্রস্তুতি মমতা সরকারের
আজ থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশন। সেই অধিবেশনে কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাস করানোই মূল লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। আগামিকাল অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি এই প্রস্তাব বিধানসভায় পেশ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বিরোধীদের এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। অধিবেশন শুরু হলেই প্রস্তাব পেশের নোটিস জারি করা হবে। তবে কোনও দলই এখনও রাজ্য সরকারের এই প্রস্তাব পেশের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানানো হয়নি। সেকথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতকালই দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ থেকে বসছে বিধানসভা
করোনা আবহে সংক্ষিপ্ত হলেও আজ থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশ। একুশের বিধানসভা ভোেটর আগে এটাই মমতা সরকারের শেষ বিধানসভা অধিবেশন। সংক্ষতিপ্ত হলেও এই অধিবেশন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই বিধানসভা অধিবেশনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিল ও প্রস্তাব পেশ করা হবে বলে আগেই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব
বিধানসভা অধিবেশনে কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে মমতা সরকার। আগেই সেকথা জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম থেকে কৃষি আইনের বিরোধিতায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। তারপরেই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত এর বিরোধিতা করেননি বিরোধীরা।
মোদীকে আক্রমণ
প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোর তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি অভিযোগ করেছেন মোদী সরকার কৃষক আন্দোলনকে লঘু করে দেখার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রের উদাসীনতা এবং অসংবেদনশীল মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনে টুইটে এমনই অভিযোগ করেছেন মমতা।
দিল্লিতে ধুন্ধুমার
প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে লালকেল্লায় ঢুকে পড়েছিলেন কৃষকরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় কৃষকদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব়্যাফ নামানো হয়। হরিয়ানায় জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তে একাধিক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।