প্রতি রাজ্যে জোটের মিটিং, ২০১৯ লোকসভার আগে ‘ইউনাইডেট ইন্ডিয়া’ অমরাবতীতে
প্রতি রাজ্যে জোটের মিটিং হবে। ব্রিগেডে মঞ্চ থেকে স্পষ্ট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চন্দ্রবাবু নাইডুর প্রস্তাবে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ফ্রন্টের পরবর্তী বৈঠকের জায়গায় স্থির হয়ে গেল।
প্রতি রাজ্যে জোটের মিটিং হবে। ব্রিগেডে মঞ্চ থেকে স্পষ্ট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চন্দ্রবাবু নাইডুর প্রস্তাবে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ফ্রন্টের পরবর্তী বৈঠকের জায়গায় স্থির হয়ে গেল। কলকাতার এই ব্রিগেড সমাবেশ যদি মোদী বিরোধী জোটের প্রথম সেন্ট্রাল মিটিং হয়, তবে দ্বিতীয় মিটিং হতে চলেছে অমরাবতীতে।
দ্বিতীয় মিটিং অমরাবতীতে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যের মাঝেই চন্দ্রবাবু নাইডুর উদ্দেশ্যে বলেন, সেন্ট্রাল মিটিং করুন অমরাবতীতে, সেখানে সবাই যাবে। শুধু চন্দ্রবাবু নাইড়ু নন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে ফারুক আবদুল্লা, অসম থেকে বিহার, সমস্ত রাজ্যেই সেন্ট্রাল মিটিং করার অনুরোধ জানান তৃণমূল নেত্রী।
নিজের নিজের রাজ্যে মিটিং
তিনি বলেন, সব নেতাদের অনুরোধ করছি, নিজের রাজ্যে মিটিং করুন। সব রাজ্যে জোটের মিটিং করতে হবে। ঝড় বইয়ে দিতে হবে। মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। সেই মিটিংয়ে আমরা সবাই যাব। কারণ যৌথ নেতৃত্ব অনেক মূল্যবান। আমরা যৌথভাবেই মোদী সরকারকে হটাবো।
সবাই এক হয়েছি দেশের স্বার্থে
এই পরিস্থিতিতে তিনি স্পষ্ট করে দেন, আমরা সবাই রাজা, আবার সবাই প্রজা। আমাদের জোটে কারওর আলাদা পরিচয় নেই। সবাইকে নিয়ে আমরা চলতে চাই। আমরা সবাই আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছি দেশের স্বার্থে, বিজেপি সরকারকে হটিয়ে দেশে সুশাসন ফেরাতে হবে। তিনি বলেন, এই ‘আচ্ছে দিনে'র সরকার ঢের আচ্ছে দিন এনেছে, আর দরকার নেই।
বিজেপিকে দরজা দেখিয়ে দিতে হবে
বিজেপিকে হটানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে জেগে ওঠার আহ্বান করেন। বলেন, বাজারে আগুন লেগেছে, জাগুন মানুষ জাগুন। ব্যাঙ্ক ধুঁকছে, বাজার মরছে, বিজেপি হাসছে। তাই বিজেপিকে এবার দরজা দেখিয়ে দিতে হবে। কারণ বিজেপি কোনও প্রতিশ্রুতি রাখেনি। উল্টে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছে। জনধন যোজনা থেকে রাফালে এক একটা দুর্নীতির চাঁই।