২০২৪-এ মানুষের বৃষ্টিতে ভেসে যাবে বিজেপি, একুশের মঞ্চে গণদেবতাতেই ভরসা মমতার
২০২৪-এ মানুষের বৃষ্টিতে ভেসে যাবে বিজেপি, একুশের মঞ্চে গণদেবতাতেই ভরসা মমতার
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ২০২৪-এ বিজেপিকে ভাগানোর বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, এই সরকার গরিবের মস্ত কিছু হরণ করে নিয়ে নিয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। মুড়িতেও জিএসটি বসিয়েছে। তাই এই সরকারকে বিদায় দিন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে দিল্লির কুর্সি থেকে ভাগিয়ে দিন।
২০২২-এর একুশে জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে উঠেই বলেন, এদিনের প্রবল বৃষ্টিও টলাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেসের সভ্য-সমর্থকদের। এত বৃষ্টি মাথায় নিয়েও তাঁরা বসে রয়েছেন। আপনাদের এই দৃঢ়তাই ২০২৪-এ বিজেপিকে ভাগিয়ে দেবে। এত বৃষ্টিতে যখন আপনাদের হটাতে পারেনি, তখন ২০২৪-এ বিজেপি মানুষের বৃষ্টিতে ভেসে যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি একটি মেরদণ্ডহীন দল। ইডি-সিবিআই আর ইনকামট্যাক্স-জিএসটি হল ওদের মেরুদণ্ড। আমরা মেরুদণ্ড সোজা রেখে চলি। ওদের মেরুদণ্ড বেঁকে গিয়েছে বলেই শুধু ইডি-সিবিআই আর ইনকামট্যাক্স দেখায় আর জিএসটি লাগু করে মানুষকে বিপাকে ফেলে। আমরা ভয় পাই না, আমদের হিম্মত রয়েছে, আমরা গণতান্ত্রিক পথে লড়াই করে বিজেপিকে ভাগিয়ে ছাড়ব।
এদিন বিজেপিকে অগ্নিপথ নিয়েও একহাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আপনারা অগ্নিপথ, অগ্নিবীর করছেন। কিন্তু ভুলে যাবেন না আর্মির বিকল্প হয় না। আর্মিকে বঞ্চনা করে এখন নতুন বিকল্প অগ্নিপথ বানাতে গেলে মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না। মনে রাখবেন, আর্মিতে কোনও বিকল্প হয় না। বিড়াল তপস্বীর সরকার হয়ে গিয়েছে। চাকরি খেয়ে নিয়েছে। রেলের ৮০ হাজার চাকরি খেয়ে নিয়েছে। কোল ইন্ডিয়া উঠিয়ে দিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে দিয়েছে। যারা সারাজীবন স্বাধীনতা যুদ্ধেই করল না, দেশটাকেই জানল না তারা নাকি ইতিহাস তৈরি করবে। ইতিহাস বিকৃত করছে শুধু।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন, তৃণমূল কংগ্রেস থাকলে ফ্রিতে রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, কৃষকবন্ধু, পেনশন, ভাতা, জয় জোহার, ঐক্যশ্রী, সবুজসাথী পাবেন। তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হবে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে কৃষকদের আয়ের দিক দিয়ে প্রথম বাংলা। আমি তাই গর্বিত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কৃষি ও শিল্প আমার চ্যালেঞ্জ। কৃষির পাশাপাশি শিল্পও গড়ব। আমরা জোর করে ঘর ভাঙব না, জমি দখল করব না। দেউচা পাঁচামি ১ লক্ষ ছেলে-মেয়ের চাকরি হবে। কাজ শুরু হবে। ৭২ হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট হচ্ছে, কয়েক লক্ষ ছেলেমেয়ে চাকরি পাবে। মমতা বলেন, সবথেকে ভালো কয়লা মিলবে দেউচায়। ১০০ বছরে বিদ্যুতের অভাব হবে না। দাম কমবে বিদ্যুতের, আমরা বিক্রি করতেও পারব।
মমতা বলেন, শিক্ষকতায় ১৭ হাজার পদ তৈরি রয়েছে, আমরা চাই চাকরি হোক, বিজেপি চায় না চাকরি হোক। তাই কুটুস কুটস করে পিঁপড়ের কামড় দিচ্ছে। ক্ষমতা থাকলে রুখে দেখাক। চাকরি দেব, বন্ধ করলে চালু করব। ওরা বলছে বাংলার লোককে চাকরি দেওয়া যাবে না! আলবৎ দেবো, কী করবে করো। পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা।