ফেডেরাল ফ্রন্টকেই মেনে চলতে কংগ্রেসকে! লোকসভার পরিসংখ্যান তুলে বার্তা মমতার
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তিনি ব্রিগেডের সমাবেশে দেশের তাবড় নেতাদের হাজির করার হুঙ্কার ছেড়েছিলেন। সেই ব্রিগেড সমাবেশের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ফের সেই ফেডেরাল-বার্তা।
২০১৯-এ বিজেপিকে ফিনিশ করার বার্তা দিয়ে ব্রিগেড সমাবেশের ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তিনি ব্রিগেডের সমাবেশে দেশের তাবড় নেতাদের হাজির করার হুঙ্কার ছেড়েছিলেন। সেই ব্রিগেড সমাবেশের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ফের সেই ফেডেরাল-বার্তা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যতই কংগ্রেস একক দক্ষতায় তিনটি বিধানসভা নির্বাচন জিতুক, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দাদাগিরি মানা হবে না। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, ফেডেরাল ফ্রন্ট অর্থাৎ রাজ্যভিত্তিক আঞ্চলিক দলগুলির ঐক্যকেই মেনে চলতে হবে কংগ্রেসকে। কারণ ফেডেরাল ফ্রন্টই প্রধান বিরোধী শক্তি।
এই মর্মে পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, দেশের ৯টি রাজ্যে ৩০১টি আসনে কংগ্রেসের থেকে বড় শক্তি আঞ্চলিক দলগুলি। আর কংগ্রেস ও বিজেপির সরাসরি লড়াই ৮টি রাজ্যের ১২৩টি আসনে। বাকি থাকছে ১২১টি আসন। যেখানে অন্যান্য ছোট দল ও বিজেপি-সমর্থিত দলগুলির শক্তি বেশি।
সেই নিরিখে কংগ্রেসের মূল শক্তির থেকে প্রায় তিনগুণ শক্তি বেশি আঞ্চলিক দলগুলির। তাই কংগ্রেসের দাদাগিরি মানা সম্ভব নয় ফেডেরাল ফ্রন্টের। উত্তরপ্রদেশে যেমন সপা-বসপার উপর নির্ভর করতে হবে কংগ্রেসকে, তেমনই বিহারে আরজেডির উপর নির্ভর করতে হবে। আর অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি, মহারাষ্ট্রে এনসিপি, কর্ণাটকে জেডিএস, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে, বাংলায় তৃণমূলের উপর উপর নির্ভর করতে হবে কংগ্রেসকে। তাই কংগ্রেসের দাদাগিরি কেন মানবে। কংগ্রেসকে মেনে চলতে হরবে আঞ্চলিক দলগুলির স্বার্থ। তবেই বিজেপি বিরোধী মহাজোট গড়ে উঠবে। শনিবারের মঞ্চ থেকে সেই বার্তাই মূলত তুলে ধরা হবে।