রাজ্যে নয়া প্রতিভা খুঁজবে রাজ্য সরকার, ক্লাবকে অনুদান দিয়ে বার্তা মমতার
রাজ্যে খেলার প্রসারের জন্য ক্লাবগুলিকে এগিয়ে আসার নির্দেশও দিয়ে মমতা বলেন, নতুন প্রতিভা না তুললে খেলার উন্নয়ন হবে না।
খেলাশ্রী'র মঞ্চ থেকে নয়া প্রতিভা খোঁজার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে খেলার প্রসারের জন্য ক্লাবগুলিকে এগিয়ে আসার নির্দেশও দিয়ে মমতা বলেন, নতুন প্রতিভা না তুললে খেলার উন্নয়ন হবে না। রাজ্য সমস্তরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এবার ক্লাব ও কর্মকর্তা থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দেরও এগিয়ে আসতে হবে।
[আরও পড়ুন:চাঁদার জুলুমবাজি, জাতীয় সড়কে গাড়ি থেকে নেমে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন রূপা]
বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে খেলাশ্রী সম্মান প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমাদের সরকারকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে নানা প্রতিকূলতা নিয়ে। তবু আমরা সদর্থক ভাবনা-চিন্তা করছি। রাজ্যের জন্য উন্নয়ন করছি, নানা সামাজিক প্রকল্প চালু করে মানুষের কাছে তুলে ধরেছি। খেলার মানোন্নয়নেও আমাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে।'
[আরও পড়ুন:দিলীপের কোমরে সফল অস্ত্রোপচার, আরোগ্য কামনায় তান্ত্রিক এনে যজ্ঞ বিজেপির]
রাজ্যের আর্থিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্য দিচ্ছি। আমরা চাই ক্লাবগুলি খেলার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিক। প্রতি এলাকা থেকে যদি একজন করেও খেলোয়াড় তুলতে পারে ক্লাবগুলি, তাহলে আমাদের রাজ্যের খেলার মান অনেক বেড়ে যাবে।' মুখ্যমন্ত্রী সেইসঙ্গে বলেন, 'একটা ক্লাব একটা এলাকা দেখবে। তাঁরাই প্রথম প্রহরী। এলাকার শান্তি রক্ষায় ক্লাবের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।'
[আরও পড়ুন:অঙ্ক কষে এগোতে গিয়ে 'কোপ' ফ্রন্টে! ক্ষমতা ধরে রাখতে সাংসদকেই প্রার্থী সিপিএমের]
এদিন মোট ১৬ হাজার ক্লাবকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। চার হাজার ক্লাবকে দেওয়া হয় দু-লক্ষ টাকা করে। আর বাকি ১২ হাজার ক্লাব পায় এক লক্ষ টাকা করে অনুদান। মোট ২০০ কোটি টাকা প্রদান করা হয় ক্লাবগুলিকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এলাকার উন্নয়নে একটা ক্লাবের গুরুত্ব অপরিসীম। বিরোধীরা নিন্দা মন্দ করবে। ওটাই ওদের কাজ। কিন্তু ক্লাবগুলিকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।'
এদিন রাজ্যের ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের হাতে খেলাশ্রী সম্মান তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে এই সম্মান নেন বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত ভট্টাচার্য, সুভাষ ভৌমিক, অরুণলাল, জয়দীপ কর্মকার প্রমুখ। এদিনের এই মঞ্চ থেকে খেল সম্মান, বাংলার গৌরব, ক্রীড়াগুরু, জীবনকৃতি ও বিশেষ সম্মান এই পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই মঞ্চ থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাটুলির ভাসমান বাজারের উদ্বোধন করেন।
এদিন রাজ্য ক্লাবকে টাকা দেওয়ায় ঘোর সমালোচনা করে বিরোধীরা। তাঁরা বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী কোষাগারের চাপ বাড়িয়ে এই অনুদান প্রদান করছেন। আর ক্লাবগুলি সেই টাকায় পিকনিক, পুজো আর জলসা করে বেড়াচ্ছে।' এই অনুদান পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্লাবগুলিকে হাতে রাখার জন্যই বলে সমালোচনা করা হয়।