এক চালেই কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, পঞ্চায়েতে আশা জাগিয়েও ব্যাকফুটে বিজেপি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক চালেই কিস্তিমাত। জঙ্গলমহলে ফিরছে তৃণমূলের আধিপত্য। বিজেপি পঞ্চায়েতে আশা জাগিয়েও ব্যাকফুটে পড়ে যাচ্ছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসছেন প্রাক্তনীরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক চালেই কিস্তিমাত। জঙ্গলমহলে ফিরছে তৃণমূলের আধিপত্য। বিজেপি পঞ্চায়েতে আশা জাগিয়েও ব্যাকফুটে পড়ে যাচ্ছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসছেন প্রাক্তনীরা। এবার পঞ্চায়েতে জঙ্গমহলে আশানুরূপ ফল করতে না পারায় জেলা নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়েছিলেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
পঞ্চায়েতে ধাক্কা খেয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটি গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা সভাপতি থেকে ব্লক সভাপতি বদল করেছিলেন। তারপর দলের কোর কমিটির বৈঠকে হাজির হয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন, ঝাড়গ্রাম জেলায় যাঁরা পুরনো তৃণমূল কর্মী রয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনুন। না হলে আমি তাঁদের ফিরিয়ে আনব। সেইসঙ্গে জানিয়েছিলেন, ঝাড়গ্রাম জেলার সংগঠন দেখব আমি নিজে। আর দেখবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে না পারায় পর্যালোচনায় বসে তৃণমূল। পর্যালোচনায় স্পষ্ট হয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই বড় কারণ আশানুরূপ ফল করতে না পারার জন্য। আদি-নব্য দ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছে এই জেলায়। সেই সুযোগে বৃদ্ধি পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের দ্বন্দ্বে অনেকেই বিজেপির দিকে ঢলেছিল বলেই বিজেপি অপেক্ষাকৃত ভালো ফল করে। এরপরই তৃণমূল কোর কমিটি গঠন করে জেলায় সংগঠনের হাল ফেরানোর কাজ শুরু করে।
[আরও পড়ুন:নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বামেদের বৈঠকে জল্পনা]
মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মাত্র দেড়মাসের মধ্যেই ফল পেতে শুরু করেছে তৃণমূল। এখন উল্টোচিত্র দেখা দিচ্ছে জঙ্গলমহলে। বিজেপি নেতারা দল ছেড়ে তৃণমূলে আসছেন, তাঁরাই বলছেন বিজেপির স্বৈরাচারের কথা। শুরুতেই দুর্নীতির কথায় জর্জরিত হচ্ছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে মুকুল রায়ের তৃণমূল ছাড়ার পর জঙ্গলমহলে দলের সংগঠনে একটা ফাঁক তৈরি হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তা দ্রুত বন্ধ করে ফের তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করার রাস্তা তৈরি করে দিলেন জঙ্গলমহলে।
[আরও পড়ুন:মোদীর ছবিতে আপত্তি, বাংলাকে কৃষি-উন্নয়নে সারা দেশে মডেল করার বার্তা মমতার ]