শোভন গেলেন, এলেন ফিরহাদ! লোকসভার আগে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলেন মমতা
দলে আরও গুরুত্ব হারালেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হাত থেকে রাজ্যের সমগ্র পুরসভা পর্যবেক্ষকের গুরু দায়িত্বও কেড়ে নেওয়া হল। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পেলেন সেই গুরুদায়িত্ব।
দলে আরও গুরুত্ব হারালেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হাত থেকে রাজ্যের সমগ্র পুরসভা পর্যবেক্ষকের গুরু দায়িত্বও কেড়ে নেওয়া হল। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পেলেন সেই গুরুদায়িত্ব। প্রথমে একটা মন্ত্রক হারানো, তারপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিত্ব গেল। এবার হারালেন পুর-কতৃত্ব।
কোর কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত
রাজ্যের পুরসভার সমগ্র কর্তৃত্বভার শোভনের হাত থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্বয়ং নেত্রী। কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। সম্প্রতি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গা-ছাড়া মনোভাবের কারণেই এই গুরুদায়িত্ব হস্তান্তর করার পরিকল্পনা মমতার। এর আগে অনেকবারই শোভনকে সতর্ক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরিবেশমন্ত্রক হাতছাড়া আগেই
কলকাতার মেয়র পদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ দুই দফতরের মন্ত্রীও ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বচানের পরই তাঁর হাত থেকে পরিবেশ দফতর কেড়ে নেওয়া হয়। সেই দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। তারপর থেকে শুধু দমকল দফতরের মন্ত্রী ছিলেন শোভন।
সভাপতির পদও হারান শোভন
একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রিত্ব হাতছাড়া হওয়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কর্তৃত্বও চলে যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে জেলার সভাপতি করা হয় শুভাশিস রায়চৌধুরীকে। পঞ্চায়েতের আগে থেকেই তাঁকে সরিয়ে শুভাশিসকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা চলছিল। তা কার্যকর হল পঞ্চায়েত গঠনের পর।
শোভনকে সরিয়ে ফিরহাদ
সরলেন শোভন, এলেন ফিরহাদ। আবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সমগ্র পুরসভার কর্তৃত্ব এখন থেকে থাকবে ফিরহাদ হাকিমের হাতে। এতদিন এই গুরুদায়িত্ব সামলে আসছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এখন থেকে তাঁর হাতে আর এই দায়িত্ব থাকছে না। তাঁর জায়গায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদের হাতেই থাকবে এই দায়িত্ব, জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নেত্রীর সঙ্গে শীতল সম্পর্কের পরিণতি
একদা নেত্রীর ছায়াসঙ্গী হিসেবে দেখা যেত তাঁকে। সম্প্রতি নেত্রীর সঙ্গে তৈরি হগওয়া শীতল সম্পর্কের জেরে শোভন থাকতেন দূরে দূরে। মমতার সংস্পর্শে তাঁকে আর সেভাবে দেখা যেত না। বিশেষ করে পারিবারিক ও সাংসারিক দ্বন্দ্বে জেরবার মেয়র ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দলের কাছে সেভাবে মনোনিবেশ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ।
বারংবার সাবধান করেছিলেন মমতা
এর আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বারংবার সাবধান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার স্নেহের কানন দিদির কথাও সে অর্থে মানেননি। পরিস্থিতি তাঁকে বাধ্য করেছিল পরিবার নিয়ে তটস্থ থাকতে। তাই দিদিমণির ধমকেও কাজ হয়নি। এরই মধ্যে তিনি সংসার ভেঙেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতায় রাজনৈতিক সত্ত্বা প্রভাবিত হয়।
[আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নাচ নিয়ে মশকরা, পরিণামে চরম কাণ্ড]
শারদ-সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানে নেই শোভন
দলের মুখপত্রের শারদ সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানেও শোভন চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর অনুপস্থিতির জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরাগভাজন হয়ে পড়েন তিনি। এই অবস্থায় তাঁর সাংগঠনিক পদ খোয়ানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে।
[আরও পড়ুন:নির্বাচনের আগেই ছন্নছাড়া মোদী বিরোধী জোট! এবার মমতার 'না'-তে অ্যাডভান্টেজে বিজেপি]
[আরও পড়ুন:খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে মোদী সরকার আদৌ কি স্বস্তিতে ! কোন পথে এগোচ্ছে বিজেপি সরকার]