লক্ষ্য দিল্লি! পঞ্চায়েতের ফল নিয়ে নয়, মমতা বার্তা দিলেন সেই দিকের
পঞ্চায়েত নির্বাচনে একের পর এক আসনে জয়ে দুপুর পর্যন্ত কোনও বক্তব্যই জানালেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই মুহূর্তে যে দিল্লি নিয়ে ভাবিত, সেই বার্তা দিয়েছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে একের পর এক আসনে জয়ে দুপুর পর্যন্ত কোনও বক্তব্যই জানালেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সম্পর্কে কোনও বক্তব্য নেই তাঁর অন্যতন প্রিয় মাধ্যম টুইটারেও। তবে তিনি এই মুহূর্তে যে দিল্লি নিয়ে ভাবিত, সেই বার্তা দিয়েছেন। টুইটে তিনি বলেছেন, মায়াবতীর বক্তব্যকে তিনি সমর্থন করেন। আর সম্মান করেন সংবিধান প্রণেতা বিআর আম্বেদকরকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল তাঁর জানাই ছিল। বিষয়টি নিয়ে ভাবিত ছিলেন না তিনি। এই মুহূর্তে তাঁর চিন্তা জাতীয় রাজনীতি নিয়ে। টার্গেটে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন।
দলের কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডলদের দেখতে। আর তিনি দিল্লি নিয়ে ব্যস্ত। সামনের লোকসভা নির্বাচনটা তাঁর কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফেডারেল ফ্রন্টই হোক কিংবা বিজেপি বিরোধী জোট, সব ক্ষেত্রেই দেশের আঞ্চলিক দলগুলির পছন্দে রয়েছেন তিনিই।
কর্ণাটক বিধানসভায় ফল ত্রিশঙ্কু হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসের হয়ে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেডিএস সুপ্রিমো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়াকে ফোন করে কংগ্রেসকে সমর্থনের আর্জি জানান তিনি। পরে তিনি ফোন করেন জেডিএসের কুমারস্বামীকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, কিছুতেই বিজেপির সঙ্গে জোট নয়।
মঙ্গলবারই দেবেগৌড়াকে সরাসরি ফোন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী জোট গঠন করা জরুরি। তাই কোনওদিন না ভেবে কংগ্রেস-জিডিএসের এক মঞ্চে আসা উচিত। এই একসঙ্গে পথ চলা ভোটের আগে হলে আরও ভাল হত। তাহলে বিজেপি কোনও সুযোগ পেত না সরকার গড়ার।