মমতাকে গুরুদায়িত্ব! মোদী-বিরোধী ভোট এক বাক্সে আনতে পরিকল্পনা তৈরি রাহুলের
এই মুহূর্তে মোদী-বিরোধী মুখ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের সমস্ত রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলির কাছেও গ্রহণযোগ্য মুখ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
এই মুহূর্তে মোদী-বিরোধী মুখ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের সমস্ত রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলির কাছেও গ্রহণযোগ্য মুখ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গুরুদায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করে বার্তা পাঠিয়েছেন স্বয়ং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন। তখনই কংগ্রেস সাংসদ আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই রাহুল গান্ধীর বার্তা পৌঁছে দেন আহমেদ প্যাটেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই দায়িত্ব নিতে আগ্রহী বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বর্তমানে সমস্ত আঞ্চলিক দলের দারুণ সখ্য। সেই সখ্যতাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন কংগ্রেস সভাপতি।
কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে হলে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তেই হবে। এই সারসত্য বুঝেছেন রাহুল গান্ধী। তাই তিনি অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট করার ব্যাপারে। প্রয়োজনে কংগ্রেস স্বার্থত্যাগ করতেও পিছপা হচ্ছেন না রাহুল গান্ধী। তবে এই ব্যাপারে রাহুল গান্ধীর নিজের কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে।
অনেক আঞ্চলিক দল রয়েছে, যারা বিজেপি ও কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখে চলতে চায়। সেই তালিকায় রয়েছে ওড়িশার বিজেডি, তেলেঙ্গানার টিআরএস, অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি। বিজেপিকে হটাতে গেলে এদের সবার সাহায্য চাই। বিজেডির নবীন পট্টনায়ক, টিআরএসের কে চন্দ্রশেখর রাও কিংবা টিডিপি-র চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে মমতার সম্পর্ক ভালো। তেমনই আপের সঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভালো।
সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মোদী বিরোধী জোটকে এক জায়গায় আনার গুরুদায়িত্ব নেন, তা আরও সম্পৃক্ত হবে বলেই মনে করছেন রাহুল গান্ধী। সেই কারণেই আহমেদ প্যাটেলের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই বার্তা পাঠিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। এবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেছেন, চন্দ্রবাবু নাইডু, কুমারস্বামী ও বিজয়নের সঙ্গে। তারপর তিনি বৈঠক করেন কংগ্রেস সাংসদ আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গেও।
এই বৈঠকে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়। বিরোধীদের আর একবার একমঞ্চে এনে মোদী-শিবিরকে ধাক্কা দিতে চাইছে কংগ্রেস। প্রয়োজনে এই পদটি তৃণমূলকে ছাড়তেও কংগ্রেস রাজি। ৫১ জন সাংসদ থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেস জোটের স্বার্থে এই পদটি তৃণমূলকে ছেড়ে দিতে তৈরি। এই রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচন থেকেই বিজেপি বিরোধী জোটের পাকাপাকি পথ চলা শুরু করতে চাইছে কংগ্রেস। সেজন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ রাহুল গান্ধী।