‘একা’ শোভনের ছেড়ে যাওয়া পদে বসছেন কারা, ইস্তফার পরই চূড়ান্ত করলেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তারপর মেয়র পদ থেকেও তাঁকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি চূড়ান্ত করে ফেললেন শোভনের ছেড়ে যাওয়া পদগুলিত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তারপর মেয়র পদ থেকেও তাঁকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি চূড়ান্ত করে ফেললেন শোভনের ছেড়ে যাওয়া পদগুলিতে কে বসবেন, কে দায়িত্ব সামলাবেন। কাননের সঙ্গে প্রশাসনিক সম্পর্ক ছিন্ন করে একে একে দায়িত্ব বণ্টন করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শোভন-পর্বে ইতি
শোভন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন দমকলমন্ত্রী। ছিলেন আবাসনমন্ত্রীও। দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে কলকাতার মেয়র পদ থেকেও তাঁর প্রায় ছুটি হয়ে গিয়েছে। এর ফলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনে প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি বিকল্প নাম ভেবে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গুরু দায়িত্ব ফিরহাদ হাকিমকে
শোভনের ছেড়ে যাওয়া দুই মন্ত্রিসভার দফতর সামলাবেন ফিরহাদ হাকিম। এখন থেকে দমকল ও আবাসন দফতরের চার্জেও থাকছেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী। তাঁকেই এই গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই সেই চার্জ বুঝেও নিয়েছেন তিনি।
পুরসভা চালাবেন কমিশনার
একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বুধবারই শোভন চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দিতে চলেছেন মেয়র পদে। তাঁর ছেড়ে যাওয়া দায়িত্ব আপাতত সামলাবেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। পুর আইন অনুযায়ী মেয়রের অবর্তমানে পুর কমিশনার চালাতে পারেন পুরসভা। নতুন মেয়র না হওয়া পর্যন্ত তিনি চালাবেন কলকাতা পুরসভা।
[আরও পড়ুন:মাত্র ১০ মিনিট কথা, জল্পনায় ইতি ঘটিয়ে শোভনের ইস্তফা, মেয়র পদও ছাড়ার নির্দেশ]
পরিবেশ দফতরের দায়িত্ব শুভেন্দুকে আগেই
বেশ কিছু দিন ধরেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা চলছিল। এক এক করে তাঁর ডানা ছাঁটা চলছিল। তাঁকে পরিবেশ দফতরের মন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। ফলে আগেই একটি মন্ত্রিত্ব চলে গিয়েছিল শোভনের। এবার বাকি দুটিও গেল। বুধবারের পর তিনি মেয়রও থাকছেন না।
[আরও পডুন: '২০১৯ এর ভোটে জিতবে না, জানে বিজেপি' মিজোরামে ঝাঁঝালো দাবি রাহুলের]
শোভনকে সরিয়ে শুভাশিস সভাপতি
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সভাপতির পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা তবু তাঁকে সময় দিয়েছিলেন। নিজেকে শুধরে নিয়ে দলের কাজে মনোনিবেশ করতে বলেছিলেন। কিন্তু স্নেহের কানন কথা শোনেনি মমতার। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই তাঁকে সরিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সভাপতি করা হয় শুভাশিস চক্রবর্তীকে।
[আরও পড়ুন:মেয়র পদও ছাড়তে চলেছেন শোভন! মন্ত্রিত্বে ইস্তফার পর তৃণমূলে বিচ্ছেদ জল্পনা তুঙ্গে]