‘মোদীবাবু ম্যাডিবাবুতে পরিণত হয়েছেন, তাই টুকলি করছেন জগাই মাধাই স্লোগানও’
রাজ্যের প্রকল্প উদ্বোধন করে দিচ্ছেন, আবার আমার জগাই মাধাই স্লোগানও চুরি করে নিচ্ছেন। আসল উনি এখন মোদীবাবু থেকে ম্যাডিবাবুতে পরিণত হয়ে গিয়েছেন।
রাজ্যের প্রকল্প উদ্বোধন করে দিচ্ছেন, আবার আমার জগাই মাধাই স্লোগানও চুরি করে নিচ্ছেন। আসল উনি এখন মোদীবাবু থেকে ম্যাডিবাবুতে পরিণত হয়ে গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, মোদীজি পাগলের প্রলাপ বকতে শুরু করেছে। ভোট এসে গিয়েছে বলে, তাড়াহুড়ো করছেন মোদী। তাই এইসব করে বেড়াচ্ছেন মহাজোটকে ভোট পেয়ে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ, জগাই-মাধাই-বিদাই তো আমার স্লোগান ছিল, সেই স্লোগানে বিদাই মানে তো মোদীবাবুরাই। তো তিনি বিজেপিকে বাদ দিলেন কেন। ওরা তো এখনও রাজ্যের পঞ্চায়েতে হাত ধরাধরি করে চলছে। তাঁর কথায়, জগাই-মাঘাই গিয়েছে, এবার বিদাইকেও বিদায় নিতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবার মোদীবাবু এমনভাবে হারবেন যে, আর কোনওদিকে মুখ তুলে তাকাতে পারবে না। এমনকী গুজরাটেও না। গুজরাতেও হারবে বিজেপি। গুজরাতের মানুষও তাঁর প্রতি বিরক্ত। ২৩টি দল একজোট হয়েছে মোদীর বিরুদ্ধে। ওনাকে দেশর মানুষ চায় না। তাই ভয় পেয়েই এইসব কাণ্ড করে বেড়াচ্ছেন।
এদিন দুর্নীতি প্রসঙ্গে মোদীকে রাফাল মাস্টার বলে কটাক্ষ করলেন। মোদী বলেছিলেন দুর্নিতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, দুর্নীতিগ্রস্থদের নিয়ে আসছেন মহাজোট গড়তে। সেই প্রসঙ্গেই মমতা বলেন, উনি রাফাল মাস্টার। ওনার এক্সপায়েরি ডেট হয়ে গিয়েছে। উনি চলে গেলেই বুঝতে পারবেন, কোথায় কোথায় দু্র্নীতির বীজ ছড়িয়ে গিয়েছেন উনি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, উনি ভোটের আগে চা-ওয়ালা। আর ভোট ফুরোলেই রাফালওয়ালা। উনি চোখে দেখেন না, না হয় উনি কানেও শোনেন না। আসলে মোদীবাবুরা শুধু ভোটের সময়্ রাজনীতি করতে আসেন। তাই রাজ্য কী করেছে, তা ওদের চোখে পড়ে না।