তৃণমূলের ‘গদ্দার’রাই মাওবাদী তৈরির জনক! শুভেন্দুর নামে পোস্টারে তোপ মমতার
মমতা বলেন, আমার দলে দু-একটা গদ্দার ছিল, তারাই জঙ্গলমহলে গিয়ে মাওবাদী তৈরি করছে। তিনি ‘গদ্দার’দের কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দলকে সাবধান করেন।
দলের কোর কমিটির বৈঠক থেকে নাম না করেই মুকুল রায়কে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের মুকুল রায়কে গদ্দার আখ্যা দিলেন তিনি। মমতা বলেন, আমার দলে দু-একটা গদ্দার ছিল, তারাই জঙ্গলমহলে গিয়ে মাওবাদী তৈরি করছে। তিনি 'গদ্দার'দের কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দলকে সাবধান করেন।
মাওবাদী তৈরি করছে বিজেপি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি মাওবাদী তৈরি করছে। জঙ্গলমহলে গদ্দারগুলো জুটে এইসব করে বেড়াচ্ছে। দলের নেতৃত্বকে এই বিষয়ে জেগে ওঠার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বললেন, এসব ওদের প্ল্যান, রাজ্যকে অশান্ত করে ফায়দা লুটতে চায় ওঁরা। তা বন্ধ করে দিতে হবে। একটা দল আর একটা দলকে পোস্টার লিখে দিচ্ছে।
বিজেপি-আরএসএসের চক্রান্ত
তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ওরা গুরুং-ফুরুংদের দিয়ে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। ওরা চায় পাহাড়. জঙ্গলমহলে শান্তি বজায় থাকুক। দার্জিলিংকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছিল। এখন আবার জঙ্গলমহলকে অশান্ত করার চেষ্টায় নেমেছে। মাওবাদী তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিজেপির পাশাপাশি আরএসএসও ষড়যন্ত্র করছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ।
শুভেন্দুকে হুমকি পোস্টাকে তোপ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মাওবাদী পোস্টারের নেপথ্যেও বিজেপি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিজেপিই মাওবাদীদের নাম করে ওইসব পোস্টার লিখছে। শুভেন্দু অধিকারীর মুণ্ডু চাই। আগে নিজের মুণ্ডুটা বাঁচা, তারপর তো শুভেন্দু অধিকারীর মুণ্ডু নিবি। মাওবাদী ঢুকিয়ে এইসব অশান্তি পাকাচ্ছে। আসলে বিজেপির নেতারাই এসব করছে।
দলকে সতর্ক করলেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সতর্ক করেন ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম নেতৃত্বকে। জঙ্গলমহলের কিছু মানুষকে উসকে ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনে মাও-আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। আরএসএস বাইরে থেকে লোক এনে এলাকায় বসে আছে, জেলার নেতৃত্ব কী করছে, কেন তারা এর মোকাবিলা করছেন না।
ঘরে বসে থাকবেন না
মমতা দলের নেতা-নেত্রীদের বলেন, আর ঘরে বসে থাকবেন না। জনপ্রতিনিধি হয়েছেন মানুষের কাজ করার জন্য, একথা সবার আগে মনে রাখবেন। সব কিছু দিদি করে দেবে, আপনারা শুধু ভোটে দাঁড়াবেন, তা হবে না। দল কিছুদিন দেখবে, তারপর ঘ্যাচ করে নাম কেটে দেবে। যে কাজ করবে না, তাকে আমাদের দলে দরকার নেই।
[আরও পড়ুন: উনিশের রোডম্যাপ তৈরি করে ফেললেন মমতা, লোকসভার লক্ষ্যপূরণে ১২ দাওয়াই]