কে হবেন প্রধানমন্ত্রী, কে হবেন বিরোধী জোটের নেতা, ব্রিগেড মঞ্চে সাফ জানালেন মমতা
কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, কে হবেন বিরোধী জোটের নেতা, তা নিয়ে বহুবার ব্যঙ্গ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে একহাত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানালেন, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা ভাবার দরকার নেই
কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, কে হবেন বিরোধী জোটের নেতা, তা নিয়ে বহুবার ব্যঙ্গ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে একহাত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানালেন, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা ভাবার দরকার নেই, আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রী ঠিক করব নির্বাচনের পর। আপাতত নির্বাচনের আগে সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। বিজেপিকে হারাতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কে প্রধানমন্ত্রী হবে, কে নেতা হবে, তা বড় কথা নয়। আমাদের এই ইউনাইটেড ইন্ডিয়া জোটে নেতার অভাব নেই। সবাই নেতা। সবাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। তিনি বলেন আমাদের নেতার অভাব নেই। বরং বিজেপিতে একজন প্রধানমন্ত্রী, একজন মাত্র সভাপতি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আর কোনও ভেদাভেদ নয়। সামনে দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। কেন্দ্রের মোদী সরকার চলছে ফ্যাসিস্ট কায়দায়। এই সরকারকে বিদায় জানাতে হবে। বিজেপিকে হটিয়ে দিয়ে নতুন সকাল, নতুন সরকার আনতে হবে। সে জন্য জোটকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
[আরও পডুন:প্রতি রাজ্যে জোটের মিটিং, ২০১৯ লোকসভার আগে 'ইউনাইডেট ইন্ডিয়া' অমরাবতীতে]
সেই কারণেই শুধু একটা ব্রিগেড করলে হবে না। আর ব্রিগেড করতে হবে। প্রতি রাজ্যে রাজ্যে ব্রিগেড করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেন, জোটের মিটিং করতে হবে প্রতি রাজ্যেই। প্রতি রাজ্যেই তুলে ধরতে হবে ইউনাইটেড ইন্ডিয়াকে। তাহলেই মোদী সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যৌথ নেতৃত্ব অনেক মূল্যবান। সেই মতো আমরা চলব। তিনি চন্দ্রবাবু নাইডুকে বলেন সেন্ট্রাল মিটিং করতে, সেখানে সবাই যাবে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ফারুক আবদুল্লা সবাইকে সেন্ট্রাল মিটিং করার অনুরোধ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সব নেতাদের অনুরোধ করেন নিজের রাজ্যে মিটিং করতে। সব রাজ্যে জোটের মিটিং হবে।
[আরও পডুন: মোদী সরকারের এক্সপায়েরি ডেট হয়ে গিয়েছে, আর আচ্ছে দিন আসবে না, বার্তা মমতার]
মমতার কথায়, আমাদের জোটে কারোর আলাদা পরিচয় নেই। সবাইকে নিয়ে আমরা চলতে চাই। আমরা সবাই রাজা, আবার সবাই প্রজা। আমরা সবাই আজ ঐক্যবদ্ধ বিজেপি সরকারকে হটাতে। আমরা সবাই মিলে বিজেপিকে বিদায় করে দেব। অনেক আচ্ছে দিন হয়েছে আর দরকার নেই। মোদী সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে নতুন সকাল আসছে। সেই নতুন সকাল নতুন সরকার নিয়ে আসবে।