বদলাচ্ছেন না ঠিকানা, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে থেকেই সংস্কারের কাজ করবেন মুখ্যমন্ত্রী
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মত বদল করে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি বদল করছেন না তিনি। সংস্কার চললেও কালীঘাটের বাড়িতেই থাকবেন তিনি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানালেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা, ৫ নভেম্বর : ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মত বদল করে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি বদল করছেন না তিনি। সংস্কার চললেও কালীঘাটের বাড়িতেই থাকবেন তিনি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানালেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকেই তাঁর বাড়ির সংস্কার করবেন। তিনি বাড়ির একটা অংশে সরে যাবেন। তখন অন্য অংশে সংস্কারের কাজ হবে।
মোট কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিকানা বদল হচ্ছে না। ৩৪ বি হরিশ চ্যটার্জি স্ট্রিটই থাকছে তাঁরা স্থায়ী ঠিকানা। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে বারংবার অনুরোধ এলেও মুখ্যমন্ত্রী রাজি হচ্ছিলেন না বাড়ি বদল করতে। শেষমেশ শুক্রবার বাড়ি বদলে মত দিলেও, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বদল করলেন।
তিনি জানান, এই বাড়ি থেকে সরলে তাঁর কাজের ক্ষতি হবে। ঠিক কথাই যে, ৪০ বছর ধরে কোনও সংস্কার হয়নি বাড়িটির। তা সংস্কার হবে। তবে তিনি এই বাড়িতেই থাকবেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকেই সংস্কার করাবেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য মনে করছে, নিজের ভাবমূর্তি অক্ষত রাখতেই মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি ভেবেছেন, যদি কালীঘাটের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র উঠে যান, তা যত অল্পদিনের জন্যই হোক না কেন, তাঁর ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগতে পারে।
তাই টালির চালের বাড়িতে থেকেই তিনি সংস্কার চালাতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এবং সেটাই মান্যতা পায়। শুক্রবার তিনি প্রাথমিকভাবে বাড়ি বদলে মত দিতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঘর খোঁজা শুরু হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর থাকার জন্য। প্রথমে স্থির হয়েছিল তৃণমূল ভবন। তারপর আলিপুরের সৌজন্য ভবন। কিন্তু নিরাপত্তার ঘাটতিতে বাতিল হয়ে যায় ওই দুই বাড়ি। শেষমেশ হেস্টিংসের পূর্ত ভবনই মনস্থ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অস্থায়ী ঠিকানার জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শন করার পরই চূড়ান্ত অনুমোদন মিলবে, এই পরিস্থিতি থেকে মুখ্যমন্ত্রী আবার ১৮০ডিগ্রি ঘুরে কালীঘাটের বাড়িতে থাকাই মনস্থ করলেন। ফলে তাঁর জন্য বাড়ি খোঁজার ইতি ঘটল। সম্প্রতি এনএসজি-র পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের টালির বাড়ি আদৌ নিরাপদ নয়। মুখ্যমন্ত্রীকে তা জানানো হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নারাজই রইলেন বাড়ি বদল করতে। টালির ছাউনি। ঘূণ ধরা বাঁশের কাঠামো। সেখানে থেকেই নিজের টাকা দিয়েই ওই বাড়ি সংস্কার করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।