বিজেপির সভায় আমন্ত্রণ মমতাকেও! সৌজন্যের নয়া নজির গড়তে চান দিলীপরা
রাজ্য বিজেপিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সৌজন্যের সেই রাজনীতিকে হাতিয়ার করতে চাইছে। সেই লক্ষ্যেই মমতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণসভায়।
বর্তমানে অহি-নকুল সম্পর্ক তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির। কেন্দ্র হোক বা রাজ্য, দুই পার্টিই এখন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। যদিও বাজপেয়ীর প্রতি নমনীয় মনোভাব আজও অটল রেখেছে তৃণমূল, এবার রাজ্য বিজেপিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সৌজন্যের সেই রাজনীতিকে হাতিয়ার করতে চাইছে। সেই লক্ষ্যেই মমতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণসভায়।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে একেবারে অন্যরকম সম্পর্ক ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার প্রেক্ষিতেই কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতেও গিয়েছিলেন বাজপেয়ী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলেন।
এহেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না আমন্ত্রণ জানালে কলকাতায় বাজপেয়ীর স্মরণসভা অপূর্ণ রয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপি। সেই কারণেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর ভাবনা রয়েছে দিলীপ ঘোষদের। আর এই আমন্ত্রণের মাধ্যমে সৌজন্যের রাজনীতির তাস খেলতে চাইছে বিজেপি।
বিজেপির ব্যাখ্যা, শাসক বা বিরোধী- সবার জন্যই বিশেষ কদর ছিল অটলবিহারী বাজপেয়ীর। তিনি শাসক থাকাকালীন বিরোধীদের যেমন গুরুত্ব দিতেন, তেমনই যখন বিরোধী ছিলেন শাসকের ভালো কাজের ভূয়সী প্রশংসা করতেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্দিরা গান্ধীকে যেমন 'মা দুর্গা' বলে অভিহিত করেছিলেন, রাজীব গান্ধীর সঙ্গেও ছিল তাঁর অদ্ভুত রসায়ন।
সেই নিরিখেই বিজেপিবিরোধী সমস্ত দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে কলকাতায় অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণসভায়। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, এই সভায় তৃণমূলের অন্যান্যে নেতানেত্রী ছাড়াও কংগ্রেস, সিপিএম তথা বামপন্থী দলগুলিকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। বাজপেয়ীর স্মরণসভাকে কেন্দ্র করে সৌজন্যের পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি। ফলে এই স্মরণসভায় এক মঞ্চে দেখা যেতে পারে শাসক-বিরোধী দলের তথাকথির যুযুধান নেতৃবর্গকে। রচিত হতে পারে সৌজন্যের নয়া ইতিহাস। সৌজন্যে অটলবিহারী বাজপেয়ী।