১৯-এ ১৯ দখলের ডাক মমতার! পুরো দেশ ব্রিগেডে
২১ জুলাইয়ের সভা থেকে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সমাবেশের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১-এর থেকে বড় সমাবেশ করার জন্য তৈরি হতে কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
২১ জুলাইয়ের সভা থেকে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সমাবেশের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১-এর থেকে বড় সমাবেশ করার জন্য তৈরি হতে কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুজোর পর থেকে ব্রিগেডের সমাবেশের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
২১ জুলাইয়ের সমাবেশ। এবারই ২৫-এ পা দিয়েছে। ২০১১-য় ক্ষমতায় আসার পর থেকে ব্যাপ্তি বেড়েছে ২১ জুলাাইয়ের সমাবেশের। অনেক বেশি লোক আসছেন। তবে ব্রিগেডের সমাবেশের কাছে এই জনসমাবেশ যে কিছুই নয়, তা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছে কার্যত পরিষ্কার করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বলেছেন, ২১-এর থেকে আরও বড় সমাবেশ। তাই আরও বেসি লোক আনতে হবে। রাজ্যের ছাড়াও অন্য রাজ্য থেকে নেতারা ছাড়াও সেই সমাবেশে কর্মী-সমর্থকরা যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু সমাবেশ নয়, মঞ্চও যে ভর্তি থাকবে সারা দেশ থেকে আগত নেতানেত্রীদের নিয়ে, তাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সঙ্গত কারণেই কেকে সেই সমাবেশে হাজির থাকবেন, তা এখনই বলা সম্ভব হয়নি।
২১ জুলাইয়ের সভা থেকে ১৯-এর চ্যালেঞ্জ জানান, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি ঘোষণা করেন, ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশ করবে তৃণমূল। তিনি বলেন, সেখানে বিজেপি বিরোধী সব দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে অঙ্গীকার, রাজ্যে ৪২ টি আসনের ৪২ টিই দখল করতে হবে।
একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ যারা প্যান্ডেল সামলাতে পারে না, তারা দেশ সামলাবে!
বেশ কয়েকবারের সাংসদ। রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলেছেন। রাজ্যের দুদফার মুখ্যমন্ত্রী। ফলে তিনি যে প্রধানমন্ত্রীত্বের দাবিদার সেকথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন বারে বারে। ফলে রাজ্যে রাজ্যে আঞ্চলিকদলগুলিকে যেমন তিনি প্রাধান্য দিচ্ছেন, ঠিক তেমনই নিজের রাজ্য থেকেই যত বেশি সম্ভব আসন নিজের দলের ঝুলিতে রাখতে চান। সেই জন্য ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে অঙ্গীকার, রাজ্যে ৪২ টি আসনের ৪২ টিই দখল করতে হবে।
কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী ফেডারেল ফ্রন্ট গঠন আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, অখিলেশ, মায়াবতী, লালুর দল ছাড়ও ডিএমকে, তেলেগু দেশম পার্টি, জেডিএস -সহ বিভিন্ন আঞ্চলিকদলের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯-এ দিল্লি দখল করতে ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় সেই জোটের চূড়ান্ত ছবি তুলে ধরতে চান।