মমতার ফোন বুদ্ধদেবকে, সৌজন্যের নয়া নজির রেখে পূর্বসূরিকে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেও একইরকম সৌজন্য দেখিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ক্ষেত্রে। এবার সৌজন্যের নজির বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর বেলায়।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য গুরুতর অসুস্থ। সেই খবর পাওয়া মাত্রই তাঁর বাড়িতে ফোন করে পূর্বসূরির খবর নিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুদ্ধদেববাবুর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তাঁর স্ত্রী মীরাদেবীকে ফোন করে। প্রয়োজনে সমস্তরকম সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। আরও একবার রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির স্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার সিপিএমের রাজ্য দফতরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টচার্য। তারপর তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রবিবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁর রক্তক্ষরণ হয় এবং শুরু হয় শ্বাসকষ্টও। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় বুদ্ধদেববাবুর। তাঁকে সুস্থ করতে লাগানো হয় অক্সিজেন মাস্ক। সোমবার তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। আগের থেকে তিনি অনেক ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন বুদ্ধদেববাবুর স্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেও একইরকম সৌজন্য দেখিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ক্ষেত্রে। অধীর চৌধুরীর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছিল। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। তারপর মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে খোঁজখবর নেন তাঁর শারীরিক অবস্থার। এরপর বুদ্ধদেববাবুর বাড়িতে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী কথা বললেন মীরা ভট্টাচার্যর সঙ্গে।
শুধু তাই নয়, এর আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ক্ষেত্রেও একই সৌজন্য দেখিয়েছিল। একইরকম সৌজন্যের নজির দেখা গিয়েছিল সুভাষ। চক্রবর্তীর ক্ষেত্রেও। সেদিন বিরোধী নেত্রী হিসেবে তিনি যেমন সৌজন্য দেখিয়েছিলেন, তেমনই সৌজন্য আজ শাসক হিসেবেও।
দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন বুদ্ধদেববাবু। সেই কারণেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তাঁর হাঁটাচলাও বারণ ছিল। তবু তিনি নিয়মিত অলিমুদ্দিন স্ট্রিটে পার্টির রাজ্য দফতরে আসতেন। পার্টি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতেন। পার্টিকর্মীরাই হঠাৎ লক্ষ্য করেন তাঁর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক ডাকা হয়। পরে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক আসেন। বাড়িতে চিকিৎসা করেই সুস্থ করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে।