ইভিএম-যুগের অবসান ঘটিয়ে ব্যালটে ফিরতে কংগ্রেস সাংসদের নেতৃত্বে কমিটি মমতার
ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে ফের ইভিএম জালিয়াতির অভিযোগ উঠল। উঠল পেপার ব্যালটে ভোট করার দাবি। আর সমাবেশ শেষের পরই তা নিয়ে কমিটিও গঠন করে ফেললেন বিরোধী জোটের যৌথ নেতৃত্ব।
ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে ফের ইভিএম জালিয়াতির অভিযোগ উঠল। উঠল পেপার ব্যালটে ভোট করার দাবি। আর সমাবেশ শেষের পরই তা নিয়ে কমিটিও গঠন করে ফেললেন বিরোধী জোটের যৌথ নেতৃত্ব। সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া বলেছিলেন শুধু জোটের সমাবশ করলেই হবে না, জোটবদ্ধভাবে কর্মসূচিও নিতে হবে।
দেবেগৌড়ার সেই পরামর্শ মেনে শনিবারই ব্রিগেড সমাবেশের পর কর্মসূচি স্থির করে ফেলল বিরোধী ব্রিগেড। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হল ইভিএম বাদ দিয়ে ফের ব্যালটে ফিরতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বিরোধীরা। সেই লক্ষ্যেই অভিষেক মনু সিংভির নেতৃত্বে চারজনের একটি কমিটি গঠন করা হল।
নির্বাচনের কারচুপি-সহ একাধিক বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে ইভিএম মেশিন আনা হয়েছিল। ব্যালট-যুগের অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছিল ইভিএম-যুগ। ফের সেই ইভিএম নিয়েই প্রশ্ন উঠে পড়ায় ব্যালট ফেরানোর দাবি উঠে পড়ল। আর তা ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বৃহৎ আকার নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আছড়ে পড়তে চলেছে এবার।
এদিন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার অভিযোগ, ইভিএম হল চোর মেশিন। তাই ফের ব্যালটেই ভোট ফেরানো হোক। নইলে স্বচ্ছ্তা থাকবে না। ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপরি করে ভোট লুঠ হওয়ার আশঙ্কা আরও বেশি। ফারুক আবদুল্লার পর একই অভিযোগ করেন চন্দ্রবাবু নাইডুও।
আর তারপরই এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হল বিরোধী জোট-নেতৃত্বের মধ্যে। সেখানেই একটি কমিটি গড়ার প্রস্তাব দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডের সভা শেষে আলিপুরের এক সভাগৃহে চা চক্রে সমবেত হয়ে তা নিয়ে আলোচনা হয়। কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি ঘোষণা করেন, ইভিএমের বদলে ব্যালটে ভোট ফেরানোর দাবিতে আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা আবেদন রাখব, কয়েকটি দেশ ছাড়া সর্বত্রই ভোট হয় ব্যালটে। তবে ফের ইভিএম ছেড়ে ব্যালটে ফেরার জন্য লোকসভার আগে পর্যাপ্ত সময় নিয়েও তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। সেক্ষেত্রে যদি সংশয়টাই সত্যি হয় তাঁদের দাবি থাকবে, ১০০ শতাংশ ইভিএমে ভিভিপ্যাট মেশিন রাখতে হবে।
এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দেন, কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির নেতৃত্বে কমিটি হোক। ঠিক হয় সেই কমিটিতে থাকবেন, বিএসপির সতীশ মিশ্র, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদ ও আপের অরবিন্দর কেজরিওয়াল। এই কমিটির প্রথম কাজ দাবি সম্বলিত খসড়া নির্বাচন কমিশনে পেশ করা