মোদীর উগ্র আচরণেই প্রতিবেশী-সম্পর্কে অবনতি, কেন্দ্রকে তোপ মমতার
আগেই চিন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজনাথ সিংকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনে বিধানসভায় ভোট দিতে এসে মোদী সরকারকে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিদেশ নীতির তীব্র সমালোচনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উগ্র আচরণের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে ভারতের। চিন, নেপাল, ভুটান, এমনকী বাংলাদেশের সঙ্গেও সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে। তার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাকে।[আরও পড়ুন:মমতা নিশানায় মোদী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনই অ-বিজেপি জোটের ডাক]
আগেই চিন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজনাথ সিংকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিকবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোনও করেন তিনি। এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনে বিধানসভায় ভোট দিতে এসে মোদী সরকারকে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে চাঁছাছোলা ভাষায় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার জন্য দায়ী করলেন নরেন্দ্র মোদীকে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চিনের সঙ্গে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক ভারতের। তারপর নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। শেষমেশ বাংলাদেশের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের বি্পদ এখানেই এ রাজ্যে ওই চার দেশেরই সীমান্ত রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বাংলাকে টার্গেট করতে পারে প্রতিবেশী দেশগুলি।
আর সেই চেষ্টা যে হচ্ছে না, তা তো নয়! দার্জিলিংয়ে চিনা অনুপ্রবেশ ঘটছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। দার্জিলিংয়ে চিনা ভাষা শেখানো হচ্ছে। মমতার অভিযোগ, এই বিষয়ে কেন্দ্র কেন কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কেন্দ্রের উচিত এখনই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া। কেন্দ্র সীমান্ত রক্ষা করার দায়িত্ব সঠিকভাবে সামলাচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর।
এখন আবার বাংলাদেশের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ করার খেলা শুরু করেছে বিজেপি সরকার। সেখানেও সেই ধর্মীয় তাস। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এর ফলে সম্পর্ক নেমে যাচ্ছে তলানিতে। সীমান্ত-সমস্যা তৈরি হচ্ছে বাংলায়। বাইরের লোক ঢুকে পড়ছে রাজ্যে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সরকারকে বিঁধে মমতা প্রশ্ন তোলেন, এনআইএ, আইবি, 'র' কী করছিল?