স্বাধীন দেশে পরাধীন হবে ভারতবাসী! নিরাপত্তা-প্রশ্নে মোদীকে মোক্ষম নিশানা মমতার
স্বাধীন দেশে আবার কেন পরাধীন হব! প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের অনুষ্ঠানে এসে মোদী সরকারকে একহাত নিলেন তিনি।
স্বাধীন দেশে আবার কেন পরাধীন হব! প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের অনুষ্ঠানে এসে মোদী সরকারকে একহাত নিলেন তিনি। বললেন, এই সরকার মানুষের গোপনীয়তাকে ফাঁস করে দিতে চাইছে। আগে আধারকার্ড নিয়ে একই জিনিস করেছিল এই সরকার, এখন আবার নিরাপত্তার ধুয়ো তুলে মানুষের কম্পিউটারে আড়ি পাততে চাইছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র নির্দেশ জারি করেছে, দেশের ১০টি কেন্দ্রীয় সংস্থা ইচ্ছা করলে যে কোনও কম্পিউটারে নজরদারি চালাতে পারবে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকালেই টুইট করেছিলেন। এবার মোদী সরকারের এই আড়ি পাতা মানসিকতার ঘোর সমালোচনা করেন।
কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নোট বন্দি থেকে শুরু করে জিএসটির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিপাকে ফেলেছে মানুষজনকে। তারপর আধারকার্ড বাধ্যতামূলক করতে চেয়ে মানুষের সব গোপনীয়তায় উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তা না পেরে এখন আবার কম্পিউটারে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছে।
West Bengal CM Mamata Banerjee: Today I saw notification where it is mentioned that all the computer resources will be under surveillance. Does this mean we don't have any independence or privacy? This notification should be withdrawn as it can be misued. pic.twitter.com/uEfU63V5Ik
— ANI (@ANI) December 21, 2018
[আরও পড়ুন:আপনার কম্পিউটারে যেকোনও সময় নজরদারি চালাবে কেন্দ্র, জারি নয়া নির্দেশিকা ]
মমতার প্রশ্ন, কেন্দ্র যদি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়, কেন তবে সাধারণ মানুষ প্রভাবিত হবে। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের হাতে অনেক মিশানারি আছে। সেইসব প্রয়োগ না করে, কেন সাধারণ মানুষের ভাঁড়ারের খবর জানতে চাইছে কেন্দ্র। এটা কি সাধারণ মানুষকে বিব্রত করা নয়! এটা কি ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নয়।
[আরও পড়ুন: '২০১৯-এই রাম মন্দির'! হিন্দু সভার গোপন বৈঠকে আশ্বস্ত করলেন ভাগবত ]
এর বিরুদ্ধে জনমত গঠনের দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেন। একইসঙ্গে গর্জে ওঠেন বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে সীতারাম ইয়েচুরি, আসাদউদ্দিন ওয়াইসি থেকে ডেরেক ও'ব্রায়েন টুইট করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। একযোগে অভিযোগ ওঠে, আর কোন গোপনীয়তা রইল না এই সরকারের আমলে। নরেন্দ্র মোদি এখন আপনার কম্পিউটারে নজরদারি চালাবেন।
[আরও পড়ুন:মোদী সরকার গোয়েন্দাগিরি চালাচ্ছে কম্পিউটারে, মমতা ডাক দিলেন জনমত গঠনের]