'উনি খুবই নাইস এবং সুইট লেডি', অখিলকে সাবধান করে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে করা অখিল গিরির মন্তব্যের জন্যে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন আগেই প্রকাশ্যে সমাবেশে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কু-মন্তব্য করে বসেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে করা অখিল গিরির মন্তব্যের জন্যে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন আগেই প্রকাশ্যে সমাবেশে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কু-মন্তব্য করে বসেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। একেবারে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ গোটা বঙ্গ বিজেপি। এই অবস্থায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী এবং বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব যে ভাষাতে আক্রমণ করছেন তা নিয়েও সমালোচনা করেছেন তিনি।
ক্ষমাও চেয়ে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সোমবার এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা। আর সেই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের স্পষ্ট বার্তা, অখিলের এহেন মন্তব্য করা একেবারেই ঠিক হয়নি। এজন্যে ক্ষমাও চেয়ে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। না থেমেই তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে আমরা সম্মান করি, অন্যায় করেছে অখিল গিরি। ভবিষ্যতে যাতে এমন মন্তব্য সে না করে এজন্যে দলের তরফে তাঁকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই ধরণের মন্তব্যকে সমর্থন করে না।
শুধু তাই নয়, সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, দল এই ধরণের মন্তব্যকে সমর্থন করে না। এমনকি আমি নিজে ওনাকে খুবই পছন্দ করি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি খুবই সুইট এবং নাইস লেডি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, সৌন্দর্য কখনও মনের ওপরে হয় না, ভিতরে হয়। দলের এটার সংস্কৃতি নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আগামদিনে এহেন মন্তব্য করলে দল ব্যবস্থা নেবে বলেও দাবি তৃণমূল সুপ্রিমোর।
বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি মমতা
অন্যদিকে কার্যত ভাষা সন্ত্রাস নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তৃণমূলের আদিবাসী মন্তব্য বিরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে কিছু কু-মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কড়া নিন্দা জানানো হয়েছে। এবার এই ইস্যুতে ফের একবার বিজেপিকে আক্রমণ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। তাঁর দাবি, বীরবাহা একজন আদিবাসী পরিবারের মেয়ে। সে একটা সাংস্কৃতিক বাড়ির মেয়ে। কিন্তু তাঁকে কেউ বলছে জুতোর নীচে রেখে দেবে। তা কি খুবই রুচিকর? এমনকি দাঁড়কাকের মতো কাউকে দেখতে বলাটাও কি রুচিকর? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। এক তরফা ভাবে বিজেপি যেভাবে কাজ করছে তা নিয়ে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। যদিও অন্যায়কে তৃণমূল কখনও প্রশয় দেয় না বলে স্পষ্ট বার্তা প্রশাসনিক প্রধানের।
বলে রাখা প্রয়োজন, অখিল গিরিকে কাকের মতো দেখতে বলে এর আগে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তাঁকে জবাব দিতে গিয়েই রাষ্ট্রপতিকে আক্রমণ করে বসেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্রী। আর তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।
বাংলাকে অপমান! বয়েই গিয়েছে দিল্লির টাকা নিতে, কাকে নিশানা করলেন মমতা