শুধু স্কুলে নয়, কন্যাশ্রী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও, শিক্ষক দিবসে আর কী ঘোষণা মমতার
কন্যাশ্রী প্রকল্প রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে বিশ্বসেরার তকমা নিয়ে ফিরেছে। বাংলার কন্যাশ্রী ‘বিশ্বশ্রী’র মর্যাদা পেয়েছে। সেই প্রকল্পকে আরও বৃহৎ আকারে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন মমতা।
আর শুধু স্কুলে সীমাবদ্ধ নয় কন্যাশ্রী, এবার থেকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও কন্যাশ্রীর আওতায় আসবে। কন্যাশ্রীকে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় আরও বড় আকারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছকে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে এসে তিনি ঘোষণা করলেন কন্যাশ্রীর সেই উত্তরণের কথা।
এবারই কন্যাশ্রী প্রকল্প রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে বিশ্বসেরার তকমা নিয়ে ফিরেছে। বাংলার কন্যাশ্রী 'বিশ্বশ্রী'র মর্যাদা পেয়েছে। তাই সেই প্রকল্পকে আরও বৃহৎ আকারে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও ছাত্রীদের তিনি এই প্রকল্পের আওতায় আনতে চাইছেন। সেই কারণে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে যেমন কন্যাশ্রী চালু করা হচ্ছে, তেমনই স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদেরও আওতাভুক্ত করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।
এদিন নজরুল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কন্যাশ্রীর ফলে ১৬.৫ শতাংশ স্কুল ছুট কমেছে। ৪০ লক্ষ পড়ুয়াকে ইতিমধ্যে কন্যাশ্রীর আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। ৬ হাজার নতুন স্কুল তৈরি হয়েছে। এদিন কন্যাশ্রীর পাশাপাশি সাড়ে চার লক্ষ শিক্ষক ও অশিক্ষিক কর্মচারীকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। তিনি বলেন, 'বাংলায় অনেক সুযোগ আছে, শিক্ষার পরিধি আরও বাড়ুক।'
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি সম্মান দিতে হবে। শিক্ষা গুরুরা চিরদিন বেঁচে থাকেন। সেই কথা মনে রাখতে হবে ছাত্রছাত্রীদের।' এদিন নাম না করে কেন্দ্রের মোদী সরকারের সমালোচনাও করেন তিনি। শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন, 'বাংলা আজও বঞ্চনার শিকার। বাংলার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে না বলেই বাংলাকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চালানো হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আগের সরকারের ঋণ মেটাতে হচ্ছে। রাজস্বের টাকা দিয়ে দেনা শোধ করতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও প্রতিকূলতা জয় করে আমরা উন্নয়নের কাজ করে চলেছি। সংসার চালানোর মতো করে সরকার চালাই আমরা। সেই কারণেই আমরা হিসেব করে রাজ্যের অগ্রগতি ঘটাতে সক্ষম হচ্ছি।'