চার লক্ষ কর্মীর বেতন বাড়ছে রাজ্যে, লোকসভার লক্ষ্যে ‘খেল’ শুরু মমতার
কোড অফ কন্ডাক্টের আওতা থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। প্রথম সুযোগেই তিনি চার লক্ষ কর্মীর বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন।
পঞ্চায়েত ভোট যত বিলম্ব হচ্ছিল, ততই ভিতরে ভিতরে গুমরাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হঠাৎ হঠাৎ বাংলার মানুষের জন্য পরিষেবা প্রদান করতে পারছিলেন না নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকায়। আর পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার পরই তিনি প্রথম সুযোগেই ছক্কা হাঁকিয়ে দিলেন।
বঙ্গ-সম্মান প্রদানের মঞ্চ থেকেই তিনি জরুরি ঘোষণা করে দিলেন কর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন। কোড অফ কন্ডাক্টের আওতা থেকে বেরিয়ে তিনি যে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। প্রথম সুযোগেই তিনি চার লক্ষ কর্মীর বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন। এই বেতন বৃদ্ধির ঘোষণার পিছনে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই লোকসভার জন্য 'খেলা' শুরু করে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন নজরুল মঞ্চ থেকে সরকার নিযুক্ত চারলক্ষ কর্মীর জন্য সুখবর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ লক্ষ ২০ হাজার সিভিক ভলেন্টিয়ার, ২ লক্ষ ৩০ আইসিডিএস ও ৫০ হাজার আশাকর্মীর ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। আগামী অক্টোবর মাস থেকেই বর্ধিত ভাতা পাবেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ঘোষণা করেন, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বেতন সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে আট হাজার করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে তাঁদের জুনিয়র হোমগার্ড থেকে পুলিশ কনস্টেবলে রূপান্তরিত করার ভাবনাও রয়েছে। তবে তার শর্ত স্বরূপ ভালো কাজ করতে হবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন কল্পতরু হয়ে আশাকর্মী ও আইসিডিএস-কর্মীদেরও বেতন বৃদ্ধি করেন। আশাকর্মীদের ২ হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করা হয়। আর আইসিডিএস কর্মীরদের ভাতাও বৃদ্ধি করা হয় এক হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মূলত তিন শ্রেণির সরকার নিযুক্ত কর্মীর ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। ১ অক্টোবর থেকে এই বর্ধিত বেতন পাবেন কর্মীরা।
পঞ্চায়েত ভোটের পরই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় বেজায় খুশি সিভিক ভলেন্টিয়ার থেকে শুরু করে আইসিডিএস ও আশাকর্মীরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের কথায়, পঞ্চায়েত ভোটে দলের হয়ে কাজ করার জন্যই ভাতা বাড়িয়ে উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের বেঁধে রাখলেন দলের সঙ্গে।