এবার পুজোর আগেই বড় ‘উপহার’ মমতার, ‘কল্পতরু’ হয়ে বিলোলেন ‘শান্তির বাণী’
দুর্গাপুজোর আগে ‘কল্পতরু’ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল্যবৃদ্ধির জেরে হেঁসেলে আগুন জ্বলছে, এই অবস্থায় উপহারের ডালি সাজিয়ে হাজির হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
দুর্গাপুজোর আগে 'কল্পতরু' হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল্যবৃদ্ধির জেরে হেঁসেলে আগুন জ্বলছে, এই অবস্থায় উপহারের ডালি সাজিয়ে হাজির হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সমস্ত পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। এর ফলে রাজ্যে ২৮ হাজার কমিটির জন্য ২৮ কোটি টাকা খরচ হবে। সেইসঙ্গে এবার লাইসেন্স ফি-ও মকুব করে দিলেন তিনি।
উৎসবের মরশুম শুরুর আগে কলকাতা পুলিশের এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, উৎসব সবার জন্য। সেই আঙ্গিকেই বাংলায় উৎসবের মরশুম শুরু হচ্ছে। বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি উড়িয়ে আমরা উৎসবের মরশুমে প্রবেশ করব। তারপর একে একে মহালয়া, দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, মহরম, কালীপুজো, দীপাবলি, আরও নানা উৎসব রয়েছে। সবাইকে শান্তিতে উৎসব পালনের আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি
এদিন
বাংলায়
দুর্গা
কার্নিভালের
কথাও
ঘোষণা
করেন।
বলেন,
১৯
থেকে
২২
অক্টোবর
বিসর্জন
হবে।
তারপর
রেড
রোডে
দুর্গাপুজো
কার্নিভাল
হবে
২৩
অক্টোবর।
এই
পরিপ্রেক্ষিতেই
এবার
সমস্ত
পুজো
কমিটির
জন্য
খুশির
বার্তা
দেন।
তিনি
এবার
সমস্ত
পুজোয়
লাইসেন্স
ফি
মকুব
করে
দেন।
ফলে
এবার
পুজো
কমিটিতে
প্যান্ডেলের
জন্য
লাইসেন্স
ফি
দিতে
হবে
না।
তারপরেই
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘোষণা
করেন,
রাজ্যের
সমস্ত
প্রত্যেক
পুজোকে
১০
হাজার
টাকা
করে
অনুদান
দেওয়া
হবে।।
রাজ্যে
মোট
২৮
হাজার
সর্বজনীন
পুজো
কমিটি
রয়েছে।
তার
মধ্যে
তিন
হাজার
শহরে,
বাকি
২৫
হাজার
জেলায়।
সমস্ত
সর্বজনীন
পুজো
কমিটিতেই
এই
উপহার
দেওয়া
হবে।
মোট
২৮
কোটি
টাকা
খরচ
হবে
এই
খাতে।
[আরও পড়ুন:হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণে ২ দোষী জঙ্গিকে চরম সাজা,কী জানাল আদালত ]
তিনি নির্দেশ দেন, কলকাতা ও জেলা পুলিশকে এই টাকা কমিটিগুলোর হাতে তুলে দিতে। ছোট-বড়় ভেদাভেদ না করে মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর পরামর্শ, কারও কাছে ভিক্ষা চাইবেন না। টাকা দিয়ে কেউ কিনে নিতে চাইলেও তা হতে দেবেন না। আত্মমর্যাদা রেখে কাজ করুন।
[আরও পড়ুন: মুখেই মোদী-বিরোধিতা মমতার, কাজের বেলায় খসে পড়ল মুখোশ, খোঁচা বিমানের]
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, যার যার ধর্ম নিজের নিজের, উৎসব সবার। সবাইকে শান্তিপূর্ণ ভাবে উৎসবে অংশ নিতে হবে। কী করে বিসর্জন হবে, কী করে মহরম হবে, কী করে শান্তি বজায় রাখা হবে, তা আলোচনা করে স্থির করতে হবে সবাইকে। এক শ্রেণির মানুষ ধর্মীয় শুরশুড়ি দেওয়া চেষ্টা করবে, তাতে আমল দেবেন না। নিজেদের সামর্থ মতো উৎসব করুন।
[আরও পড়ুন: সুখবর রেলযাত্রীদের জন্য! ই-টিকিটে ১ টাকা দিয়ে বিমার সুবিধা]