শিল্পে বাংলা হবে সেরার সেরা, দেশকে পথ দেখাবেন তাঁরাই, দরাজ ঘোষণা মমতার
শুধু শিল্প নয়, কর্মসংস্থানেও বাংলাই হবে এক নম্বর। শিল্পপতিরা বাংলায় বিনিয়োগ করার ব্যাপারে উৎসাহী। শিল্প বাড়লেই রাজ্য এগোবে। বাংলাই পথ দেখাবে অন্যদের।
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন সর্বক্ষেত্রেই এক নম্বর হবে বাংলা। তাঁর কথায়, 'শুধু শিল্প নয়, কর্মসংস্থানেও বাংলাই হবে এক নম্বর। শিল্পপতিরা বাংলায় বিনিয়োগ করার ব্যাপারে উৎসাহী। শিল্প বাড়লেই রাজ্য এগোবে। তা বলে কৃষি বঞ্চিত হবে না। শিল্প ও কৃষি দুই বোনের মতো বাড়বে রাজ্যে। বাংলাই পথ দেখাবে অন্যদের।'
[আরও পড়ুন:'ওয়েস্ট বেঙ্গল' হবে 'বেস্ট বেঙ্গল'! দিদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ আম্বানি-মিত্তালরা]
এদিন দেশ বিদেশের তিন শতাধিক শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে ধরেন কেন বাংলা বাণিজ্যের 'নেক্সট ডেস্টিনেশন' হতে চলেছে। তার আগে তিনি শিল্পপতিদের ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও বাংলায় আসার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, 'দেশ ও বিদেশের প্রথম সারির শিল্পপতিরা রাজ্যে এসে প্রমাণ করে দিয়েছে বাংলা মিনস বিজনেস।'
রাজ্যে শিল্প আনার জন্য যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টার কোনও কসুর নেই, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন পরতে পরতে। ছোট শিল্প এলেও, রাজ্যে বড় বা ভারী শিল্পের কোনও দেখা নেই। তাই এবার বিদেশ-বিভুঁইয়ে গিয়ে শিল্পপতিদের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ডাক শুনেছেন, বাংলায় শিল্পপতিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি ধন্য। আমার স্থির বিশ্বাস আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে রাজ্যে শিল্প-সুষমায় ভরে যাবে।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান, 'আপনারা আসুন, বাংলায় শিল্পবান্ধব পরিবেশ আছে, সুদক্ষ শ্রমিক আছে। আমাদের সরকার সমস্ত পরিকাঠামোর ডালি সাজিয়ে বসে আছে।' দু'দিনের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনে তিনি বার্তা দেন, 'শিল্পপতিদের সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।' বাংলা যে প্রমিসিং বিজনেস ডেস্টিনেশন- সেই কথা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বাংলা শুধু একটা রাজ্য নয়, বাংলা হল উত্তর-পূর্ব ভারতের গেটওয়ে। সেইসঙ্গে বাংলার ভৌগলিক পরিবেশ এমনই যে বাংলা থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও সম্ভব। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার-প্রভৃতি দেশের কেন্দ্রবিন্দু হল এই বাংলা।'
কেন বাংলাই হবে উদ্যোগপতিদের গন্তব্য? সেই ধারণাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। 'প্রথমত এখানে বিনিয়োগকারীদের জন্য রয়েছে সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম। আছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ জোগানের ব্যবস্থা, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, উত্তর ও দক্ষিণে- দুই বিমানবন্দর, সুদক্ষ শ্রমিক, উন্নত মেধা। এ রাজ্যে কর্মবিরতির হারও ঈর্ষণীয়।'
শুধু তাই নয়, এ রাজ্য শিল্প পরিকাঠামোয় প্রভূত উন্নতি করেছে। শিল্পবান্ধবে সেরা রাজ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। মুকেশ-মিত্তাল-জিন্দলদের ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারা বাংলায় যে পরিবর্তন দেখতে পেয়েছেন, তা যে বর্ণনা করেছেন, তা যথার্থ। এই পথ ধরেই বাংলা এগিয়ে যাবে। আপনমারা এগিয়ে আসনু বাংলার জন্য, তাহলে বাংলাই হবে সারা দেশের পথপ্রদর্শক। বাংলা হবে জগৎ সেরা রাজ্য।' একেবারেই ঠিক বলেছেন মুকেশজি- 'ওয়েস্ট বেঙ্গল উইল বি দ্য বেস্ট বেঙ্গল।'