দলের মুখপত্রের অনুষ্ঠানে না গিয়ে পুজোর বাজার! কাননের 'প্রেম' নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
ফের ক্যাবিনেট বৈঠকে মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রেম নিয়ে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর এমনটাই।
ফের ক্যাবিনেট বৈঠকে মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রেম নিয়ে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর এমনটাই। দলের সব মন্ত্রীরা দলীয় মুখপত্রের অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেও, তিনি না থাকায় প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপত্তি থাকলে, দায়িত্ব থেকে যেন অব্যাহতি দেওয়া হয়। যদিও প্রকাশ্যে কেউই এবিষয় নিয়ে মুখ খোলেননি।
প্রতিবছর মহালয়ায় দলীয় মুখপত্রের অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে নিয়ম করে হাজির থাকেন তৃণমূলের মন্ত্রীরা। যদিও এবার নজরুল মঞ্চের সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ক্যাবিনেট বৈঠক শেষে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাজির না থাকার প্রশ্নটি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি যেতে পারেননি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর কাছে খবর আছে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে শপিং-এ গিয়েছিলেন কানন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই কথায় শোভন চট্টোপাধ্যায় কিছুটা ক্ষুব্ধ হন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপত্তি থাকলে, দায়িত্ব থেকে যেন অব্যাহতি দেওয়া হয়।
শুধু
এই
ঘটনাই
নয়,
অগাস্টের
এক
ক্যাবিনেট
বৈঠকে
শোভন
চট্টোপাধ্যায়কে
মুখ্যমন্ত্রী
প্রায়
একই
ধরনের
প্রশ্ন
করেছিলেন
বলে
সূত্রের
খবর।
সারা
রাজ্যের
মানুষ
শোভন
চট্টোপাধ্যায়ের
ব্যক্তিগত
জীবন
নিয়ে
আলোচনা
করছেন
বলে
বৈঠকে
কটাক্ষ
করেছিলেন
মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি
ঠিক
কী
করবেন,
তা
বান্ধবীর
কাছে
জিজ্ঞাসা
করবেন
কিনা,
সেই
প্রশ্নই
মুখ্যমন্ত্রী
করেন
বলে
জানা
গিয়েছিল।
সেই
সময়
শোভন
চট্টোপাধ্যায়
কিছু
বলার
চেষ্টা
করেও
ব্যর্থ
হন।
সেই
সময়
নিজের
পারিবারিক
বিষয়
নিয়ে
বাইরে
কোনওরকম
প্রশ্নের
উত্তর
তিনি
দেবেন
না
বলেই
জানিয়েছিলেন
শোভন
চট্টোপাধ্যায়।
শোনা যায়, অগাস্টের ওই ঘটনার পর শোভন চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছিলেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তা ফেরত দিয়ে দেন বলেই জানা যায়।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এর আগে একাধিকবার সতর্ক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী পর্যায়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পরিবেশ দফতর নিয়ে নেওয়া হয়। দিন কয়েক আগে সরকারিভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।