ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ির পুজোয় সাবেকিয়ানা আর আভিজাত্যের মেলবন্ধন
ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ির দুর্গাপুজোর বয়স প্রায় ৬০০ বছরের। কলকাতার ভবানীপুরে পুজোর শুরু ১৯২৫ সাল থেকে। রঞ্জিত মল্লিক ও কোয়েল মল্লিকের বাড়ির পুজো এটি।
ভবানীপুরের
মল্লিকবাড়ির
দুর্গাপুজোর
বয়স
প্রায়
৬০০
বছরের।
শোনা
যায়
নবাব
হুসেন
শাহর
আমলে
বর্ধমানের
শ্রীখণ্ড
গ্রামে
মল্লিকদের
পূর্বপুরুষ
সুরথ
শুরু
করেছিলেন
দুর্গোৎসবের।
পরে
মল্লিকরা
শ্রীখণ্ড
থেকে
চলে
যান
গুপ্তিপাড়ায়।
তারপর
হুগলি
জেলার
গুপ্তিপাড়া
থেকে
কলকাতা।
এই
পরিবারের
আদি
পদবি
সেনশর্মা।
ইকমিক-কুকারের
আবিষ্কর্তা
চিকিৎসক
ইন্দুমাধব
মল্লিক
এই
পরিবারের
সন্তান।
বাংলা
চলচ্চিত্র
শিল্পী
রঞ্জিত
মল্লিক
ও
কোয়েল
মল্লিক
এই
পরিবারের
সন্তান।
[আরও পড়ুন:ইতিহাসে স্বতন্ত্র বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী বাড়ির পুজো]
ঠাকুর দালানে দরাজ গলায় পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণ, ষোলোআনা সাবেকিয়ানায় দেবীর বরণ। দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে পারিবারিক মিলনোৎসব। ঐতিহ্য ও রীতি মেনে দেবীর আরাধনায় চলে ভবানীপুরের মল্লিক বাড়িতে। ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ির পুজো কলকাতার সেরা পুজোর তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে। এই বাড়ির পুজোকে এখন লোকে চেনে কোয়েলের বাড়ির পুজো হিসেবেও। বোধন থেকে বিসর্জন নায়িকা বাড়ির বাইরে এক পা-ও বেরোন না।
এই বাড়ির পুজো হয় বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার মত অনুসারে। কাঠামো পুজো হয় জন্মাষ্টমীর দিন। প্রতিপদাদিকল্প অনুসারে এই পরিবারের পুজো হয়। মহালয়ার পরের দিন থেকেই আরম্ভ হয় বোধন। মল্লিকরা বৈষ্ণব হওয়ায় কোনও পশুবলির প্রচলন নেই। তবে ঘটা করে কুমারী পুজো হয়। অন্য়দিকে, পুজোয় অন্নভোগেরও প্রচলন নেই। পরিবর্তে চাল, ডাল, বিভিন্ন ফল, মিষ্টি এবং লুচি, ভাজা দেওয়া হয় নৈবেদ্য ও ভোগ হিসেবে। পুজোর কয়েকদিন মল্লিক হেঁশেলে কোনও আমিষ খাবার ঢোকে না। দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে আমিষ রান্না হয় রান্না ঘরে।
দশমীতে আরও একটি প্রচলিত রীতি হল সিদ্ধিপান। প্রতিমা বিসর্জন হয় আদিগঙ্গায়। বিজয়ার রাতে বসে পুরাতনী গানের আসর।