আছে নিরাপত্তারক্ষী, তবু ক্যাশবাক্স চুরি গেল মহামায়াতলার কালীমন্দিরে, এলাকায় উত্তেজনা
রাতের অন্ধকারে কালীমন্দিরের লোহার গেট খুলে ক্যাশবাক্স নিয়ে পালাল একদল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার শহরতলী মহামায়াতলার লস্করপুরে। সন্দেহের আঙুল উঠছে নিরাপত্তারক্ষীদের দিকে।
কালীমন্দিরের লোহার গেট খুলে ক্যাশবাক্স নিয়ে পালাল একদল দুষ্কৃতীরা। অথচ রাতে সেখানে নিরাপত্তারক্ষীরা মোতায়েন ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার শহরতলী মহামায়াতলার লস্করপুরে। এই ঘটনায় মন্দির সংলগ্ন কালীবাজার এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বাজার কমিটির সম্পাদক জওহর নন্দী গোটা ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীদের দিকেই আঙুল তুলেছেন।
জওহরবাবুর দাবি ক্যাশবাক্সটি লোহার তৈরি। সেটি এতটাই ভারি যে তা তুলতে অন্তত ৫-৬ জন লোক লাগে। কাজেই নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে তা তুলে নিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। মন্দিরের সামনে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ মন্দিরের ওই লোহার গেট খোলা এবং সেই গেটের সামনে বসে আছেন নিরাপত্তারক্ষীদের সুপারভাইজার।
রাতে যে মন্দিরের দরজা খোলা ছিল তা মেনে নিয়েছেন ওই সুপারভাইজার। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি দাবি করেন, রাত আড়াইটে নাগাদই তিনি মন্দিরের দরজা খোলা দেখতে পেয়েছিলেন, এবং বিষয়টি তাঁর অধঃস্তন কর্মাীদের জানিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তাঁর আরও দাবি অধঃস্তনকর্মীদের তিনি বলেছিলেন ভোর ৪টেয় মন্দিরের সামনের দোকানটি খুললে, তার মালিককে বিষয়টি জানাতে।
বাজার কমিটির সম্পাদক জওহর নন্দীর প্রশ্ন মন্দিরের দরজা খোলা আছে জেনে রাতেই তাঁদের কেন জানালেন না সুপারভাইদার। বস্তুত এরকম ঘটনার নজির অতীতে রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। জানিয়েছএন, এর আগেও একবার এরকম এক ঘটনা ঘটেছিল। সেইবার রাতে নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের ফোন করায় রাত ১টার সময়ও তাঁরা মন্দিরের সামনে জড়ো হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার রাতে তা করা হয়নি।
এই লোহার ক্যাশবাক্সে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দক্ষিণা জমা পড়ত। সবমিলিয়ে প্রায় লাখখানেক টাকা জমা ছিল ওই বাক্সে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আপাতত নিরাপত্তারক্ষীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।