'সময়ের' আগেই শুরু! কেন এই তর্পণ, কী বলছে পুরাণ
তর্পণের তিথি নিয়ে সমস্যা থাকলেও, ভোর থেকেই ভিড় গঙ্গার ঘাটে ঘাটে। ঘাটে ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশকর্মীদের। রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীদেরও।
তর্পণের তিথি নিয়ে সমস্যা থাকলেও, ভোর থেকেই ভিড় গঙ্গার ঘাটে ঘাটে। ঘাটে ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশকর্মীদের। রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীদেরও। তবে এই তর্পণ শব্দের যেমন একটা অর্থ আছে, আবার পঞ্চপ্রয়াগে তর্পণের একটা নাকি বিশেষত্বও আছে। তর্পণ করতে গয়া, বদ্রীনাথে অনেকে যান, কিন্তু সবার পক্ষে এই পঞ্চপ্রয়াগে যাওয়া সম্ভবপর হয় না।
তর্পণ শব্দের অর্থ
তর্পণ শব্দের ব্যুৎপত্তি হল তৃপ-অনট। তৃপ ধাতুর অর্থ তৃপ্তি সাধন করা। এখানে তৃপ্তি সাধন বলতে দেব-ঋষি-পিতৃ -মনুষ্যগণের তৃপ্তিসাধনকে বোঝানো হয়েছে। সাধারণভাবে মৃত পূর্ব পুরুষকে জলদান করাকেই তর্পণ বলা হয়। যাঁর পিতা জীবিত আছেন, তিনি তর্পণে অংশ নিতে পারবেন না।
পুরাণে তর্পণ
মার্কণ্ডেয় পুরাণ বলচছে, পিতৃগণ শ্রাদ্ধ ও জলদানে তুষ্ট হলে স্বাস্থ্য, ধন, জ্ঞান, দীর্ঘায়ু এবং পরিশেষে উত্তর পুরুষকে স্বর্গ ও মোক্ষ প্রদান করেন। কেননা হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে দেহের বিনাশ হলেও, আত্নার বিনাশ হয় না।
পঞ্চপ্রয়াগে তর্পণ
শাস্ত্রে আছে, পিতৃগণ তুষ্ট হন পঞ্চপ্রয়াগে তর্পণ করলে। পঞ্চপ্রয়াগ বলতে, দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কর্ণপ্রয়াগ, নন্দপ্রয়াগ এবং বিষ্ণুপ্রয়াগ। হরিদ্বার থেকে বদ্রীনাথের পথে অলকানন্দার পাঁচটি সঙ্গমকে পঞ্চপ্রয়াগ বলা হয়।
পিতৃপক্ষের অবসান আর দেবী পক্ষের শুরু
মহালয়া বলতে পিতৃপক্ষের অবসান আর দেবী পক্ষের শুরু। মহাভারতের সঙ্গে যোগ রয়েছে মহালয়ার। কর্ণের ১৪ দিনের মর্ত্য সফরকেই পিতৃপক্ষ কিংবা দেবী পক্ষ বলা হয়। বলা হয়, কর্ণ ১৪ দিনের মর্ত্য সফরে বুভুক্ষু মানুষকে পেট পুরে খাইয়েছিলেন।