মাধ্যমিকে কলকাতায় কে প্রথম, ক’জনই বা মেধা তালিকায় স্থান পেল?
মেধা তালিকাতেও জেলার জয়জয়কার। প্রথম-দ্বিতীয় স্থান লাভ করা ছাড়াও বাঁকুড়া জেলা থেকেই ১৬ জন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় কলকাতা অনেকটাই পিছনে।
এবার মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থানে নাম কলকাতার কোনও পড়ুয়ার। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের অরিত্র মণ্ডল ৬৮৬ নম্বর পেয়ে কলকাতার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। অরিত্রর রেজাল্ট নিয়ে একপ্রস্থ জলঘোলা হয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে তার নাম ঘোষণা করেননি। কিন্তু মেধা তালিকায় তাঁর নাম ছিল পঞ্চম স্থানে।
মধ্যশক্ষা পর্ষদের সভাপতির ঘোষণা মতো যাদবপুর বিদ্যাপীঠের সত্যম করের নামই কলকাতায় প্রথম হিসেবে উঠে আসে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। অর্থাৎ অরিত্রর থেকে ১ নম্বর কম পেয়েছে সত্যম। পরে তালিকা দেখার পর বোঝা যায় সত্যম নয়, কলকাতার মধ্যে প্রথম তাঁর স্কুলেরই অরিত্র মণ্ডল। অরিত্র ও সত্যম ছাড়াও যাদবপুর বিদ্যাপীঠের সৌম্যজিৎ বসাকও মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
প্রথম দশের মেধা তালিকায় মোট ৬৮ জন পড়ুয়ার নাম রয়েছে। তার মধ্যে সবথেকে বেশি নাম রয়েছে বাঁকুড়া জেলার ছাত্রছাত্রীদের। কলকাতার সাতজন পড়ুয়া স্থান পেয়েছে এই মেধা তালিকায়।
মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া কলকাতার বাকিরা হল মধুমন্তী দে, মৈনাক জানা, শুভদীপ দে, দীপপ্রকাশ ঘোষ। মধুমন্তী কলকাতার সরস্বতী বালিকা বিদ্যালয় ও শিল্প শিক্ষাসদনের ছাত্রী। মৈনাক ও শুভদীপ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র এবং দীপপ্রকাশ ঘোষ বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে মাধ্যমিকে এই সাফল্য পেয়েছে। মধুমন্তী ও মৈনাক নবম স্থান পেয়েছে মেধা তালিকায়। শুভদীপ ও দীপপ্রকাশ দশম স্থান অধিকার করে।
উল্লেখ্য, মেধা তালিকার ভিত্তিতে এবার সবথেকে চমকপ্রদ ফল করেছে বাঁকুড়া জেলা। মোট ৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে বাঁকু়ড়ার পড়ুয়ার সংখ্যাই সর্বাধিক। ৬৯০ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকারিনী অন্বেষা পাইন বাঁকুড়া বিবেকানন্দ শিক্ষায়তনের ছাত্রী। দ্বিতীয় হয়েছে বাঁকুড়া জেলা স্কুলের মোজাম্মেল হক। বাঁকুড়ার মোট ১৬ জন পরীক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে।