অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষকে চরম হুঁশিয়ারি মদন মিত্রের, হাসপাতাল থেকে কেওড়াতলা শ্মশান অনেক ভালো
কী ভাবছো তোমরা?। তোমার হাসপাতাল থেকে কেওড়াতলা শ্মশান অনেক ভালো। তোমরা সবাই রক্তচোষা, চামার। হাসপাতালটাকে শ্মশান তৈরি করে ফেলেছো তোমরা। হাসাপাতালের নামে শ্মশান তৈরি করেছো!
কলকাতা, ২৪ ফেব্রুয়ারি : অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন মদন মিত্র। বললেন, হাসপাতালটাকে শ্মশানে পরিণত করে ফেলেছো। রক্তচোষা, চামার হয়ে গিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অবিলম্বে রোগীর পরিবারকে সমস্ত টাকা ও নথিপত্র ফেরত দিতে হবে। এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়েই ফোন করে প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী মদন মিত্র অ্যাপোলো সিইওকে এই হুঁশিয়ারি বার্তা দিলেন। মদনবাবুর এই বার্তার পরই অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ সমস্ত টাকা মকুব করে দিতে রাজি হয়ে যায়।[বিল নিয়ে টানাপোড়েনে মৃত্যু নয়, সাফাই অ্যাপোলোর, রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য দফতরের]
মাত্র দু'দিন আগে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষকে টাউন হলের সভা থেকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, সব থেকে বেশি অভিযোগ অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তখন কর্তৃপক্ষ নানা সাফাই গেয়েছিল। তারপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অ্যাপোলো হাসপাতালে সেই একই চিত্র। এবার মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ব্যাটন তুলে নিলেন মদন মিত্র। একেবারে পুরনো ঢঙে তিনি 'শাসন' করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। কণ্ঠে সেই পুরনো বলিষ্ঠতা।
এদিন ডানকুনির বাসিন্দা সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন মদনবাবু। অহেতুক বিল বৃদ্ধি, টাকা না মেটানোয় রোগীকে অমানিবকভাবে আটকে রাখার চরম সমালোচনা করেন মদন মিত্র। মদনবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফাইনাল ওয়ার্নিংয়ের পরেও কেন এই গাফিলতি। তোমাদের কাছে হাতে পায়ে ধরে কাঁদার পরও কেন রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কী ভাবছো তোমরা? তোমার হাসপাতাল থেকে কেওড়াতলা শ্মশান অনেক ভালো। তোমরা সবাই রক্তচোষা, চামার। হাসপাতালটাকে শ্মশান তৈরি করে ফেলেছো তোমরা। শীঘ্রই রোগীর পরিবারকে পুরো টাকা ফেরতের নির্দেশ দেন তিনি। তিনি এদিন বলেন, এখানে বিশাল উত্তেজনা রয়েছে। আমরা চাই না কোনও মানুষকে ক্ষ্যাপাতে। কিন্তু এমন কিছু করবেন না যাতে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। আর একটা কথা মনে রাখবে, টাকা ফেরত দিলেও তোমাদের পাপ খন্ডন হয়ে যাবে না।
এরপরই অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়ে যায়। উল্লেখ্য, ছ'দিন অ্যাপোলো হাসপাতালে ৭ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা বিল হয়। ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা রোগীর পরিবার নগদে প্রদান করা হয়। এদিকে সারদা কাণ্ডে জামিন পাওয়ার পর এই প্রথম মদন মিত্রকে এমন ধরেনর ভূমিকায় দেখা যায়। মদনবাবুর এই ভূমিকা বর্তমান পরিস্থিতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।