হাল ছাড়েননি মদন, ‘ফেসবুক লাইভ’-এ কণ্ঠ ছেড়ে অস্তিত্ব প্রকাশ তৃণমূলের ‘জননেতা’র
মদন মিত্র যে হাল ছাড়েননি, তা বুঝিয়ে দিলেন এবার। নিজের অস্তিত্ব প্রকাশে এবার সোশ্যাল মিডিয়ার ময়দানে নেমে পড়লেন ঢাকঢোল পিটিয়ে।
একুশের সমাবেশের পর তিনি অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন। তবু সেদিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন- 'হাল ছেড়োনা বন্ধু, কণ্ঠ ছাড়ো জোরে...।' তিনি যে হাল ছাড়েননি, তা বুঝিয়ে দিলেন এবার। নিজের অস্তিত্ব প্রকাশে এবার সোশ্যাল মিডিয়ার ময়দানে নেমে পড়লেন ঢাকঢোল পিটিয়ে। আর ময়দানে নেমেই তিনি যেভাবে ব্যাট চালাতে শুরু করেছেন, তা বীরেন্দ্র সেওয়াগের ব্যাটিং-ধামাকাকেও হার মানাবে।
[আরও পড়ুন:প্রার্থী হিসাবে ইশরাতের থেকেও এগিয়ে তিনি! এখন তাঁর বিজেপি-যোগই জল্পনায় ]
ফেসবুকে নিজস্ব পেজ খোলার পর একেবারে তরতর করে এগিয়ে চলেছে মদন মিত্রের ফলোয়ারের সংখ্যা। ২৩ ডিসেম্বর তিনি ফেসবুকে পেজ খুলেছেন। সাতদিনেই তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ছাড়িয়ে ২০ হাজার। শুধু ফেসবুক পেজ খোলাই নয়, তিনি ফেসবুক লাইভও শুরু করে দিয়েছেন। তারপর ফেসবুক দরবার খুলেছেন তাঁর অনুগামীদের জন্য। 'দাদা'র এই উদ্যোগে বেজায় খুশি অনুগামীরা। তাঁর অনুগামী তৃণমূলকর্মীদের মধ্যে ফের উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।
ফলো করেই ক্ষান্ত নেই অনুগা্মীরা। অনুরোধের ঢল নামছে মদন মিত্রের ফেসবুক পেজে। নতুন বছরের শুভেচ্ছা তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে নানা অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। পাড়ার ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হোক বা রক্তদান শিবির- প্রিয় মদনদাকে তাঁদের চাই-ই। পাল্টা অনুগামীদেরও নিউ ইয়ারের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় তিনি অনুগামীদের বিশেষ উৎসাহিত করেন। ১ জানুয়ারি যে তৃণমূলকর্মীদের কাছে একটি বিশেষ দিন, তাও জানাতে ভোলেননি তিনি। কারণ, ১৯৯৮-এর এই দিনেই প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের।
[আরও পড়ুন:'জঙ্গলমহলের মা'-এর ডাক এল না, 'মা-মেয়ে'র বিচ্ছেদে 'মুক্ত' ভারতীকে নিয়ে জল্পনা ]
প্রতিদিনই তরতরিয়ে বাড়ছে মদন মিত্রের ফলোয়ার সংখ্যা। প্রতি ঘণ্টা ১২৫ জনেরও বেশি মদন মিত্রের ফেসবুক ফলো করছেন। ফলোয়াররা তাঁদের প্রিয় মদন মিত্রকে পেয়ে আপ্লুতও। সেইরকমই কমেন্ট আসছে ফেসবুক পেজে। তাঁদের প্রিয় মদনদার মুখে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর প্রশংসা শুনেও আহ্লাদে আটখানা ফলোয়াররা।
মদন মিত্র একুশের ময়দানে যেভাবে নিজেকে তৃণমূলস্তরের নেতা বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন, বলেছিলেন এই মাটিই আমার আদর্শ স্থান, এবার ফেসবুকের ওয়ালেও একই ভঙ্গিতে তিনি নিজেকে তৃণমূল স্তরের কর্মী হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রগতিশীল নেত্রীর নেতৃত্বে বাংলা শ্রেষ্ঠত্বের আসন লাভ করবে। শুধু সারা দেশে নয়, বিশ্বে বাংলা প্রথম হবে।