ফেসবুকে ‘বোমা’ ফাটালেন মদন! মমতাকে বার্তা দিয়ে কোন পথে পা, দেখুন ভিডিও
দুঃখ মিশ্রিত আবেগের বাণীতে মদন মিত্র জিততে চাইলেন সমর্থকদের মন। জানিয়ে দিলেন তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ইতিবৃত্ত।
আর বিড়ম্বনা নয়, এবার একটু স্বস্তি চান মদন মিত্র। চান সম্মান, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা। সমস্ত বিতর্কের তিনি অবসান করে দিলেন এক ফেসবুক লাইভেই। দুঃখ মিশ্রিত আবেগের বাণীতে তিনি জিততে চাইলেন সমর্থকদের মন। জানিয়ে দিলেন তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ইতিবৃত্ত। একবারে চাঁছাছোলা ভাষায় কাব্যিক ছন্দে তিনি বিশ্লেষণ করলেন তাঁর পরবর্তী চলার পথ।
সারদাকাণ্ডে জামিন পাওয়ার পর থেকেই জল্পনা চলছিল মদন মিত্রকে নিয়ে। তারপর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তাঁর স্থান না পাওয়া, রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাল না ছেড়ে কণ্ঠ ছাড়ার আহ্বান থেকেই সেই জল্পনার পারদ চড়তে থাকে ক্রমশ। আর তা তুঙ্গে ওঠে মুকুল রায়ের দলত্যাগের পরেই। রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই আলোচনা- এবার কি তবে মদন মিত্রের উইকেট পড়তে চলেছে!
আর এই জল্পনার মাঝেই তৃণমূল ভবনে প্রশ্নটা উড়ে এসেছিল মদন মিত্রের কাছে। সোজা ব্যাটে সেই বাউন্সার তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন বাউন্ডারির বাইরে। আর তারপর ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বোমা ফাটিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, 'কেন তিনি বিজেপিতে যাবেন না। প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন- কেন বিজেপিতে যাব আমি? আমার কী এমন অসহায় অবস্থা হল যে, বিজেপিতে যোগ দিতে হবে!'
মদন মিত্র বলেন, 'যদি কারও পথ অনুসরণ করতে হয়, অনুসরণ করব মহাজনের পথ, বিদ্বজন-মনীষীদের পথ, অন্ধকারে হারিয়ে গেলে নবকুমার-কপালকুণ্ডলার পথ। কিন্তু যাঁরা আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করল, আমার রাজনৈতিক জীবনে কালি লাগালো, অপমান করল, মিথ্যে প্রচার করল, আমার জীবনের পাতা থেকে ২২ মাস ছিঁড়ে ফেলে দিল, তাঁদের দলে কেন যাব?'
তিনি বলেন, '২২ মাস দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে কেটেছে আমার। আমার পরিবার, সমর্থকদের উপর সুনামী বয়ে গিয়েছে। নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে আমার পরিবার। আনন্দ নেই শুধু মুখের হাসি সাজিয়ে নিয়ে কাটাতে হয়েছে, সেদিন ভুলে যাব কী করে। আর তৃণমূল আমাকে পরিচয় দিয়েছে, আমি এক আনার যোগ্য হলে, আমাকে ষোলো আনা দিয়েছে। আমার বুক চিরলে তাই একটাই নাম লেখা রয়েছে দেখতে পাবেন- সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
তিনি বিড়ম্বনার অবসান চেয়ে বার্তা দেন, 'কেন স্বর্গ ছেড়ে নরকে যাব, কেন জান্নাত ছেড়ে জাহান্নমে যাব, তাই আমাকে যেন আর না প্রশ্ন করা হয়- তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাব কি না। আমি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তৃণমূলেই থাকতে চাই। মৃত্যুর পর অন্তত একটা ঘাসফুলের তেরঙ্গা পতাকা তো আমার দেহের উপর জড়িয়ে দেওয়া হবে।' তিনি শুধু এটুকু আবেদন জানান- 'তোমায় কিছু দেব বলে চায় যে আমার মন, নাইবা তোমার থাকল প্রয়োজন।'