নক্ষত্রলোকের দেশে সৌমিত্র, পড়ে থাকল অনেক কাজ, সাক্ষী বীরভূম
নক্ষত্রলোকের দেশে চলে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পড়ে থাকল অনেক কাজ।
শর্টফিল্ম 'শনি-রবি' এর শুটিং হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বর এবং এবছরের জানুয়ারি মাস জুড়ে। ময়ুরেশ্বর ও সাইথিয়ার বিভিন্ন জায়গায় শুটিং লোকেশান পছন্দ করে শুটিং চলেছিল প্রায় দুমাস ধরে।

ওই শর্টফিল্মের একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বীরভূমের সাঁইথিয়ার স্টারডাস্ট প্রোডাকশানের কর্মকর্তা ও অভিনেতা রনি দত্ত।

জানা গিয়েছে, 'শনি-রবি'র কাহিনি যখন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে শোনানো হয়েছিল, তিনি গল্প শুনে খুব খুশি হয়েছিলেন। অভিনয় করতে রাজি হয়ে যান সঙ্গে সঙ্গে, বলে জানান প্রযোজক রনি দত্ত। কিন্তু বয়সজনিত সমস্যার জন্য সাঁইথিয়া আসতে রাজি হননি। অগত্যা শুটিংয়ের ব্যবস্থা করতে হয় কলকাতায়।
শর্টফিল্ম শনি-রবি মূলত কিশোর বয়সের প্রেম ভালোবাসা নিয়ে। একটা ছবি যেখানে কলাকুশলীরা সবাই সাঁইথিয়ার এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একমাত্র কলকাতার এবং ছবিতে তিনি সূত্রধারের কাজ করেছেন।
সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ছাত্র পরিচালক সায়ন ভট্টাচার্য জানান, সৌমিত্রবাবু এতই ভালো মানুষ যে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে এতটুকু অসুবিধা হয়নি। ইউনিটের সবার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন। প্রয়োজক ওই সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজেরই ছাত এবং সাঁইথিয়ার বাসিন্দা্ রনি দত্ত জানান, সৌমিত্রবাবু লকডাউন শেষ হলে ডাবিংয়ের কাজ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার জন্য সেটা আর হল না। এখন অন্য কোনওভাবে শুটিংয়ের সময়ে রেকর্ডিং করা আওয়াজেই শর্টফিল্ম রিলিজ করার চেষ্টা করা হবে।
নক্ষত্রলোকের দেশে সৌমিত্র, পড়ে থাকল অনেক কাজ, সাক্ষী বীরভূম