লকডাউনের আগে করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কলকাতায় মদের দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়
লকডাউনের আগে করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কলকাতায় মদের দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়
ইতিমধ্যেই আগামী ৩১শে মার্চ পর্যন্ত দেশের সমস্ত পানশালা ও রেস্তোরাঁ, হুক্কাবার, ও নাইটি ক্লাব বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম লঙ্ঘন হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের এক উর্ধ্বতন আধিকারিক। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে আগামী ৩১শে মার্চ পর্যন্ত দেশের সমস্ত রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশান্যাল রেস্টুরেন্ট অ্যাশোসিয়েশন অফ ইণ্ডিয়া।
করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সোমবার সকাল থেকেই মদের দোকানে দেদার ভিড় কলকাতায়
এদিকে সোমবার বিকেল থেকেই লকডাউনের ঘোষণা হতেই কলকাতা ও শহরতলির মদের দোকান গুলিতে লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া গেল। যদিও করোনা ঠেকাতে দূরত্ব বজায় রাখা সহ আনুষাঙ্গিক কোনও সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখাই গেল না কাউকে। পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় সোমবার সকাল থেকই চলল এমনই কাণ্ড কারখানা।
করোনা সংকটে কালোবাজারি হতে পারে মদ ব্যবসায়, মত বিশেষজ্ঞদের
যদিও সেই সুযোগে বাড়তি কিছু মুনাফা লাফের সুযোগ পেতে চলেছেন মদ ব্যবসায়ীরা। দক্ষিণ কলকাতার এক মদের দোকানদার জানাচ্ছেন গরমের কথা মাথায় রেখে বেশি পরিমাণে বিয়ারও মজুত করে রাখা হয়েছিল। সেগুলিও বেলা বাড়তেই সব শেষ। যদিও করোনা সংকটের মধ্যে মদ বিক্রিতে কালোবাজারি আরও বাড়তে পারে বলে বনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
লকডাউনের আগেই অন্যচিত্র কেরালায়
কিন্তু কয়েকদিন আগেই মদের দোকানে অন্যচিত্র চিত্র দেখা যায় কেরালা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে জমায়েত করতে নিষেধ করেছে সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায় দোকানে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে মদ কিনছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি কয়েকদিন আগেি করোনা সংকটের আবহে অনলাইনে বাড়িতে মদ ডেলিভারির আবেদন করে আদলতের দারস্থ হতে দেখা যায় কেরালার এক যুবককে। যদিও আদালত অবমাননার দায়ে তাঁর সেই অভিযোগ পরবর্তীকালে খারিজ হয়ে যায়।