নির্বাচনে সন্ত্রাস করতেই প্রচুর বোমা মজুত করা হয়! আদালতে বিস্ফোরক NIA
সন্ত্রাস করতেই জমা করা হয়েছিল প্রচুর বোমা। লোকপুরে বিস্ফোরণ মামলায় বিস্ফোরক দাবি এনআইএ'র। ঘটনার সময়ে রাজ্যে পর পর বেশ কয়েকটি নির্বাচন ছিল। এমনকি ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনও। আর সেই ভোট অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস করতেই
সন্ত্রাস করতেই জমা করা হয়েছিল প্রচুর বোমা। লোকপুরে বিস্ফোরণ মামলায় বিস্ফোরক দাবি এনআইএ'র। ঘটনার সময়ে রাজ্যে পর পর বেশ কয়েকটি নির্বাচন ছিল। এমনকি ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনও। আর সেই ভোট অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস করতেই প্রচুর বোমা মজুত করা হয়।
আর তা থেকেই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। আর এহেন দাবি ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা।
ভয়াবহ এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বলে রাখা প্রয়োজন, বীরভূমের লোকপুরে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বাড়ির চাল এবং চারপাশ একেবারে ঝলসে যায়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয়। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। যদিও পরবর্তীকালে ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। এই ঘটনার তদন্তভার নিয়ে কিছুটা এগনোর পর এনআইএ তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় বেশ কয়েকজন। এরপর পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই বিস্ফোরণ কান্ডের তদনবতভার নেয় এনআইএ।
চার্জশিট জমা দিল এনআইএ।
তদন্তে নেমে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারী সংস্থা। যদিও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে আরও দুজনের খোঁজ সামনে আসলেও তাদের এখনও পর্যন্ত ধরতে পারেনি এনআইএ। আর সেই বীরভূমের লোকপুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিল এনআইএ। যেখানে একজনকে গ্রেফতার দেখানো হলেও দুজনকে ফেরার দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাস তৈরি করতেই লোকপুরে তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে বোমা মজুত করা হয়েছল সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত ভোটের সময় সন্ত্রাস তৈরি করতেই সেগুলি মজুত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মামলায় আরও তদন্তের প্রয়োজন আছে বলেও এদিন আদালতকে এনআইএ'র তরফে জানানো হয়েছে।
ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা।
তবে এনআইএ'র দাবি ঘিরেইশুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। এই প্রসঙ্গে এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। এই নিয়ে কিছু বলা উচিৎ নয়। তদন্ত চলছে। তবে এই সমস্ত সংস্থা কেন্দ্রের অধীনে থেকে কাজ করে। ফলে তাঁরা যে বিজেপির পক্ষ হয়েই কথা বলবে সেটি পরিস্কার বলে দাবি তৃণমূল নেতার। যদিও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। যদিও বিজেপির দাবি, পশ্চিমবঙ্গ বোমা শিল্প ছাড়া কিছু নেই। স্বচ্ছ ভোট হয় না। মানুষকে ভয় দেখানো হয়। আর সেটাই প্রমাণ করল বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।