কালী পুজোয় ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি, না পেয়ে তাণ্ডব পাড়ার ক্লাবের
স্থানীয় সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট বাড়িটির সঙ্গে এক প্রোমোটারের বিবাদ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। প্রোমোটারের পিছনে শাসক দলের নেতাদের মদত আছে বলে অভিযোগ। ২০১২ সালের অগস্টে ওই প্রোমোটারের প্ররোচনায় গৃহকর্তা তপন পুততুণ্ড এবং তাঁর ছেলেকে বেহালা থানার পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হলে পুলিশ পিছু হঠে। তার পর থেকেই ওই প্রোমোটার তক্কে-তক্কে ছিলেন। কালী পুজোর চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবকে লেলিয়ে দেওয়া হয়।
তপন পুততুণ্ডর পুত্রবধূ সুকন্যা পুততুণ্ড সংবাদমাধ্যমকে জানান, কালী পুজোর আগেই বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের ছেলেরা এসে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। 'দিতে পারব না' বলায় তারা চলে যায়। গত পরশু দিন অর্থাৎ রবিবার সকালে এসে আবার চড়াও হয়। বলা হয়, চাঁদা দিতে না পারলে আপনাদের কেনা জমিটা ক্লাবকে দান করে দিন। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারটি তাতে রাজি হয়নি।
এতে ক্ষেপে গিয়ে তারা বাড়ির বৃদ্ধা গৃহকর্ত্রীর ওপর চড়াও হয়। তাঁকে চড় মারা হয়। শাড়ি ধরে টানাটানি করা হয়। শাশুড়িকে বাঁচাতে এসে শ্লীলতাহানির শিকার হন পুত্রবধূও। বাড়ির কর্তা তপন পুততুণ্ড ও ছেলেকেও কিল-ঘুষি মারা হয়। যাওয়ার আগে ক্লাবের ছেলেরা হুমকি দিয়ে যায়, "চাঁদা না পেলে আপনাদের কাউকে এলাকায় থাকতে দেব না। প্রাণে মেরে দেব।"
ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবারটি এর পর বেহালা থানায় অভিযোগ জানায়। কিন্তু অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা তো দূরের কথা, পুলিশ নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছে বলে দাবি নিগৃহীতদের। শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনেই তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ।